জয় আমিনুল ইসলাম, রংপুর থেকে ফিরে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তনয় সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমি এ মাটির সন্তান এখানে আমার বাবার বাড়ি। আমার মা আপনাদের পুত্রবধূ। আপনারা দয়া করে আমার মাকে ভোট দিন। নৌকায় ভোট দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানালেন তিনি।

রংপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে পীরগঞ্জে আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ আহ্বান জানান জয়।

জাহাঙ্গীরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত পথসভায় মায়ের পক্ষে ভোট চেয়ে জয় বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিন, দেশকে এগিয়ে নিন। দেশের মানুষ ৫ বছর আগে যেমন ছিলেন, এখন তার থেকে অনেক ভালো আছেন। নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। জনগণের দেওয়া ভোটের মূল্যায়ন করতেই সরকার গত ৫ বছর কাজ করেছে।‘

তিনি বলেন, ‘৫ বছরে দেশের মানুষের আয় দ্বিগুণ হয়েছে। আগামী ৫ বছরে এ আয় আরও দ্বিগুণ করা হবে।’ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। দেশে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে তথ্য কেন্দ্র করা হয়েছে। এসব তথ্য কেন্দ্র থেকেই আবেদন করে মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করে সাধারণ মানুষ দেশের বাইরে যেতে পারছেন। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতা।’

তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করছে। নিরীহ মানুষকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারছে। বিরোধী দলের আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির জন্য। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেউ ঠেকাতে পারবে না।’  সারা দেশে বিনামূল্যে বই দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছরে গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।’

জয় আরও বলেন,‘ইতোমধ্যেই ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র হয়েছে। ক্ষমতায় গেলে বাকিগুলোও করা হবে। ওয়াদা করে যাচ্ছি বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবো।  ৫ বছর আগে সরকার ক্ষমতা নেয়ার সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিলো তিন হাজার মেগাওয়াট। অথচ এখন দশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।

জয় আরও বলেন, ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেই বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যেই মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবে।গত নির্বাচনে এটাই ছিলো আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার। আর এবারের ইশতেহার অনুযায়ী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা হবে।‘

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মা  জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের প্রার্থী। তাকে ভোট দিতে আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসুন। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।’

এবারের পীরগঞ্জ সফরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সফরসঙ্গীদের রয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নসরুল হামিদ বিপু, এস এম কামাল হোসেন। এছাড়াও রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।