সাজিদ হাসানpm,  ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে আমি নিজে ফোন করছিলাম। আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছিলাম। নির্বাচনকালীন সরকারে স্বরাষ্ট্রসহ যেকোনো মন্ত্রণালয় দেয়ার প্রস্তাব করেছি। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতা সকল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছেন।

আমরা আশা করেছিলাম, জনগণের ওপর আস্থা রেখে প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেবে। কিন্তু আমাদের আন্তরিক চেষ্টা সত্ত্বেও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই।” বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশবাসির উদ্দেশ্যে দেয়া নির্বাচনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেছেন।

শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবিধানিকভাবেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনেই হবে, অনির্বাচিত কারোর অধীনে নয়। বিরোধী দল বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে চেষ্টা করেছি। বার বার নির্বাচনে আসার অনুরোধ করেছি। টেলিফোন করেছি। কিন্তু তারা সমঝোতার পথ পরিহার করে সহিংসতার পথ নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, “২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আপনারাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মহাজোটকে নির্বাচিত করেছিলেন। আমরা দেশসেবার সুযোগ পেয়েছিলাম। আপনাদের নির্বাচিত সরকার তার অঙ্গীকার পালন করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা আপনাদের কাছে দেয়া ওয়াদার চাইতেও বেশি কাজ করেছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণতন্ত্রের প্রধানতম শর্ত হচ্ছে জনগণের ক্ষমতায়ন। আজ নিজেদের পছন্দের সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জনগণের  এই অধিকার হরণ করা হয়েছিল। কারচুপি, জবরদখল, অর্থ ও পেশিশক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে গত ৩৮ বছরে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।”

বিরোধী দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হরতাল ও অবরোধের নামে মানুষকে জিম্মি করে সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টি করেছে। মলোটভ ককটেল আর পেট্রোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। পুলিশ, বিজিবিসহ অনেককে হত্যার শিকার হতে হয়েছে। রাস্তা কেটে, রেললাইন উপড়ে ফেলে, গাছ কেটে জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে তারা চেষ্টা করেছে।”

শেখ হাসিনা ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, গত পাঁচ বছরে সারা দেশে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার ও উপনির্বাচনে আপনারা যেভাবে ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দিয়েছেন, তেমনি আগামী ৫ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে আপনারা ভোট দেবেন। পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করবেন। ”