স্কুলে আগুনফয়েজ মাহমুদ, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহনের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে আগুন জ্বলছে। এরই মধ্যে  কমপক্ষে ২০টি জেলায় ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত প্রায় ১০০ স্কুলে আগুন দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা এ আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রগুলোর কোনটির আংশিক আবার কোনটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এর মধ্যে ঢাকায় ১টি, বরগুনায় ৪টি, দিনাজপুরে ৩টি, ফেনীতে ৫টি, যশোরে ১০টি, ঝিনাইদহে ৩টি, লক্ষ্মীপুরে ১০টি, ময়মনসিংহে ৬টি, নাটোরে ১টি, নেত্রকোনায় ৪টি, পাবনায় ১টি, পিরোজপুরে ১টি, পটুয়াখালীতে ১টি, সিলেটে ২টি, সুনামগঞ্জে ২টি,

টাঙ্গাইলে ৪টি, মানিকগঞ্জে ৩টি, শেরপুরে ৩টি, বগুড়ায় পাঁচটি, খুলনায় ৪টি, রাজশাহীতে ১টি, সিরাজগঞ্জে ২টি, ঝিনাইদহে ৪টি, নীলফামারীতে ৩টি, ফেনীতে ৯টি, ফরিদপুরে ১টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১টি, চট্টগ্রামে ১টি।

এদিকে রোববারের এই বিতর্কিত নির্বাচনের আগে কয়েকদিন ধরেই বিভিন্নস্থানে ভোটকেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে লক্ষীপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, সিলেট, নীলফামারী, ফেনী ও গাইবান্ধা সহ বিভিন্ন জেলায় ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হবার কথা এমন স্কুলের আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।

রাজশাহীর চারঘাট থানার ওসি গোলাম মোর্তজা  আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, তার থানায় তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া হয়েছে – যার মধ্যে দুটি ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হবার কথা। তিনি বলেন, “আগুনে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারে কোন সমস্যা হবে না।”

লক্ষীপুরের জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তার জেলায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া হয়েছে তবে কেন্দ্র পরিবর্তন করার দরকার হবে না। এ ঘটনার পর জেলায় নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। অবরোধ চলাকালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত সহিংস ঘটনার পাশাপাশি ফেনী জেলার ছয়টি ভোটকেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।