খালেদা জিয়ারমান্না আতোয়ার,ঢাকা: ১৮ দলীয় জোটের নেতা ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীসহ তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের যে নির্দেশ দিয়েছেন তা নেতা কর্মীরা কতটুকু পালন করছে বা করবে তা নিজেই পর্যবেক্ষণ করছেন। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিগুলোতে নেতাকর্মীরা আন্দোলন পালনে সফল হতে ব্যর্থ হওয়ায় খালেদা নিজেই এখন কারা কারা নির্বাচন বর্জনে তার নির্দেশ পালনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন সেদিক স্বয়ং খেয়াল রাখছেন।

ইতিমধ্যে খালেদা সারা দেশে নির্বাচন প্রতিরোধ কমিটি গঠনের জন্য নেতাকর্মীদের আদেশ দিয়েছিলেন। খালেদার নির্দেশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নেতাদের তদারিকিতে সারা দেশে নির্বাচন প্রতিরোধ কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে বলে দলীয় সুত্রে জানা যায়।

সেই প্রতিরোধ কমিটির তৎপরতায় যে সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে নির্বাচন কমিশন বাধ্য হয়ে সারা দেশের ১৪৩ টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করেছে। যদিও নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের ব্রিফিং এর মাধ্যমে বলেছেন আগামী ২৪ জানুয়ারীর মধ্যে ঐ সব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করা হবে।

এদিকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১৮ দলীয় জোটের নির্বাচন প্রতিরোধ কমিটির তৎপরতার কারণে ভোটারদের উপস্থিতি তেমন একটা ছিলনা। সারাদেশের সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এই দুটি বিভাগে।গোটা দেশের মোট নিহতের সংখ্যা ১৮ জন।

তার মধ্যে ১৩ জনই মারা গেছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে। এ দুটি বিভাগের নির্বাচন প্রতিরোধ কমিটির তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত।
কিন্তু বাকি ৫টি বিভাগের কিছু কিছু জেলা ছাড়া নির্বাচন প্রতিরোধ কমিটির তেমন কোন তৎপরতা নজর কাড়ার মত ছিল না। এই ৫ বিভাগে সহিংসতার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৬ জন। এখান থেকে বোঝা যায় যে নির্বাচন প্রতিরোধ কমিটি কতটুকু তৎপর ছিল।

নির্বাচন প্রতিরোধ কমিটির বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ওলামা দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্জ ফজলে রাব্বি তোহার সঙ্গে ফোনালাপে আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল অংশগ্রহন না করার কারণে জনগণও ভোট দিতে যাননি। এর মানে জনগণ বিএনপি’র আন্দোলনকে স্বত:স্ফুতভাবে সমর্থন করেছেন।

যে কারণে দশম নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে কম। অর্থাৎ সারা দেশ মিলিয়ে ১০% শতাংশের এর কম ভোট ছাড়া বেশি না।

এদিকে ছাত্রলীগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোর্শেদুল চৌধুরীর সাথে ফোনালাপে আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সারা দেশে কিছু বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি প্রত্যেকটা কেন্দ্রে ছিল চোখে পড়ার মত। তার মতে ৫৫% শতাংশের বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারই পারে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে।