ঢাকা: নতুঅলিন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলে আন্দোলন থামানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ।

বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ের পরদিন সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাব, সব বিভেদ-প্রতিহিংসা ভুলে সংলাপের মাধ্যমে নতুনভাবে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন। তাহলে কেবল দেশে শান্তি ফিরে আসবে।”

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত ১৮ দল দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ভোট প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে হরতাল ডাকার পর নির্বাচন বাতিলের দাবিতেও একই কর্মসূচি দিয়েছে তারা।

ভোটের পর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সংঘাতের পথ ছাড়ার পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়ার জন্য খালেদা জিয়াকে শর্ত দিয়েছেন তিনি।

মহাখালী ডিওএইচএসে সংবাদ সম্মেলনে অলি সংবাদের কথা বললেও লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এক্ষেত্রে ১৮ দলের প্রকৃত অবস্থান কী- জানতে চাইলে অলি বলেন, “গতকাল জোটের পক্ষ থেকে  সংবাদ সম্মেলনে ওসমান ফারুক নির্বাচন বাতিল করে সংলাপের কথা বলেছেন, কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন। তারেক রহমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাও যথার্থ।

“আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, সরকারকে প্রথমে বলতে হবে, তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ করে অতি দ্রুত নির্বাচন করবে। তাহলেই কেবল আন্দোলনের কর্মসূচির বিষয়টি আমরা পুনর্বিবেচনায় আনতে পারি।”

তা না হলে যে কোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।রোববারের নির্বাচনকে ‘প্রহসনমূলক ও জালিয়াতির’ ভোট আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “এই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ভোট দিতে যায়নি। গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে আমরা জেনেছি, ৩ থেকে ১২ শতাংশ ভোট পড়েছে।”

“এই বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গোটা জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। প্রহসনের যে নির্বাচনটি হয়ে গেছে, এটি ভাগবাটোয়ারা ছাড়া কিছুই নয়। একে নির্বাচন বলা যায় না।”বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদাকে সরকার ‘গৃহবন্দি’ করে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন ১৮ দলের এই নেতা।সংবাদ সম্মেলনে দলের এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিমও উপস্থিত ছিলেন।