খালেদা জিয়াস্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, স্বৈরশাসনকে দীর্ঘায়িত করার বিপক্ষে অতীত ঐতিহ্যের ধারায় জনগণ আরেকবার নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন  সোমবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশের এবং সারা দুনিয়ার মানুষ নিজের চোখে সরাসরি ও মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছেন এবং জেনেছেন যে, কিভাবে ভোটারেরা এই কারসাজির ঘৃণ্য প্রহসনকে বর্জন করেছেন। সারাদিন সারাদেশের ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল ফাঁকা।

ভোটারবর্জিত এ একতরফা কারসাজিকে জনগণ ঘৃণাভরে পুরোপুরি বর্জন করেছেন। গণতন্ত্র হত্যার এ যজ্ঞে তারা সায় দেননি। প্রত্যাখ্যান করেছেন আওয়ামী লীগের এই নির্লজ্জ মহড়াকে। এজন্য বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘সবখানে সারাদিন ভোটকেন্দ্রগুলো শূন্য পড়েছিল। কেউ ভোট দিতে আসেনি। বহু ভোটকেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি। কোথাও কোথাও দু-চারটা করে ভোট পড়লেও এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল জাল। অথচ ভোটগ্রহণের শেষপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্বাচন কমিশন অভিমুখে ছুটাছুটি ও তৎপরতার পর রাতে লাখ লাখ এবং হাজার হাজার ভোট পড়েছে বলে দেখানো হয়। এতে পুরো প্রহসনটির সামান্যতম বিশ্বাসযোগ্যতাও আর অবশিষ্ট থাকেনি।’

তিনি বলেন, ‘দেশের এবং সারা দুনিয়ার মানুষ নিজের চোখে সরাসরি ও মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছেন এবং জেনেছেন যে, কিভাবে ভোটারেরা এই কারসাজির ঘৃণ্য প্রহসনকে বর্জন করেছেন। সারাদিন সারাদেশের ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল ফাঁকা। ভোটারবর্জিত এই একতরফা কারসাজিকে জনগণ ঘৃণাভরে পুরোপুরি বর্জন করেছেন।

গণতন্ত্র হত্যার এই যজ্ঞে তারা সায় দেননি। প্রত্যাখ্যান করেছেন আওয়ামী লীগের এই নির্লজ্জ মহড়াকে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের অধিকারের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে, স্বৈরশাসনকে দীর্ঘায়িত করার বিপক্ষে অতীত ঐতিহ্যের ধারায় আরেকবার নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন।’

খালেদা বলেন, ‘ভোটারশূন্য এই নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে সকলের সামনে হাতে-কলমে প্রমাণিত হয়েছে যে, সরকারের প্রতি মানুষের ঘৃণা ও অনাস্থা কত তীব্র। এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, তাদের মুষ্টিমেয় দোসর ও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের গণবিরোধী কুকর্মও দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে।’

ভোট না দেয়ায় বেগম জিয়া জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘অভিনন্দন বাংলাদেশ। অভিনন্দন বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে। আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক ও ভোটারদের। তারা ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে কলঙ্কময় প্রহসনকে বর্জন করেছেন।’