হাজী সেলিমফয়েজ মাহমুদ, ঢাকা: পুরান ঢাকাবাসীর জনসাধারনের প্রানের মানুষ দশম নির্বাচনে ঢাকা ৭ আসনের নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী সেলিম ভাই। সবার কাছে তিনি সেলিম ভাই বলে পরিচিত। ব্যাক্তি ইমেজের কারনে এলাকাবাসীর কাছে সবার উর্দ্ধে। তিনি এলাকার জনগনের সুখে দু:খে বিপদ আপদে পাশে ছিলেন এবং আজীবন থাকবেন।

তবে দশম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে মনোনয়ন না দিলেও তিনি প্রমান করেছেন ঢাকা ৭ আসনের হাজী সেলিমের বিকল্প নেই। যার প্রমান হয়েছে প্রায় এগারো সহস্রাধিক ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন দল মনোনীত কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে।

ঢাকা-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন মহানগর আ.লীগ ও সাবেক এমপি হাজী মো. সেলিম। ঢাকা সিটি করপোরেশন (দক্ষিণ) জোনাল ৩ কার্যালয়ে বিজয়ী হওয়ার পর আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মুখোমুখি হয়।

হাজী সেলিমের বিজয় সম্পর্কে তিনি বলেন,  এ বিজয় শুধু আমার একার নয়, এ বিজয় ঢাকা ৭ আসনের আপামর জনতার। ঢাকা ৭ আসনের জনগন বলেছেন, আমার আ’লীগ বিএনপি কোন দল বুঝি না। আমরা হাজী সেলিমকে চিনি। তাই জনগনের স্বার্থে আমি নির্বাচন করছি। জনগনই আমাকে বিজয়ী করেছে।

অন্য এক প্রশ্নে হাজী সেলিম বলেন, এ আসনে দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি, কিন্তু কোতোয়ালি, লালবাগ, বংশাল, চকবাজারের জনগণ জোর করে আমাকে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করেছে। তারা বলেছে আপনি শুধু নির্বাচনে দাঁড়ান বাকি দায়িত্ব আমাদের।

এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি বিজয়ী হওয়ার পর রোববার সন্ধা থেকে ঢাকা ৭ আসন এলাকায় ইতিমধ্যে মাদকদ্রব্য  বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। আমি জনগনকে কথা দিয়েছিলাম বিজয়ী হলে প্রথম মাদক দ্রব্য বিক্রি বন্ধ হবে এবং তাই হয়েছে।

এছাড়া এলাকায় কোন সন্ত্রাস থাকবে না,  চাঁদাবাজি থাকবে না। এ এলাকার গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ এবং সুয়ারেজ লাইনের উন্নয়ন করা হবে।  আমার পাওয়ার কিছু নাই, সব কিছু জনগণের জন্য।

সে দায়িত্ব অনুসারে এ চার এলাকার জনগণ দিনরাত কষ্ট করে ১৮ দলের সহিংসতা এবং বোমাবাজির মধ্যেও ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। এতে জয়ী হয়েছেন তাদের প্রার্থী হাজী মো. সেলিম। সুতরাং এ বিজয় আমার নয়। এ বিজয় জনগণের।

প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে আ.লীগের মনোনীত  প্রার্থী ছিলেন বর্তমান এমপি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। অপরদিকে দলের মহানগর যুগ্ম-সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাজী মো. সেলিম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।

রোববার রাতে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দেওয়া ফলাফল অনুযায়ী হাতি প্রতীক নিয়ে হাজী সেলিম ৪২ হাজার সাত ভোট। অপরদিকে নৌকা প্রতীক নিয়ে ডা. মোস্তফা জালাল পান ৩০ হাজার ৩৩৮ ভোট। আর এর মাধ্যমে ২০০১ সালে হারানো আসন পুনরুদ্ধার করলেন হাজী সেলিম।