এইচআরডব্লিউস্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, গ্রেফতারের কারণে কলঙ্কিত হয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ৮ জানুয়ারি বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে সম্প্রতি সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টিও উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাংলাদেশের প্রশাসনের উচিত দেশটির বিরোধী দলসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে যে নির্বিচার গ্রেফতার চলছে তা বন্ধ করা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এর জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যাপকভাবে বিজয়ী হওয়ার পরও গণগ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশ এই বিভাজিত নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।”

বিরোধীদলের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বাড়ির বাইরে পুলিশি প্রহরা প্রসঙ্গে বলা হয়, “নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে যারা নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।

বিরোধী দলীয় নেতা তিনবার নির্বাচিত হওয়া প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কার্যত গৃহবন্দী করে রাখা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তার বাড়ির চারপাশ ঘিরে রাখে এবং লোকজনের যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করা হয়।”

এইচআরডব্লিউ’র দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, “বিরোধী পক্ষের সহিংসতা বন্ধের জন্য সরকার পদক্ষেপ নিলেও তা ছিল মূলত সরকার সমালোচকদের দূর্বল করা এবং ক্ষমতাসীনদের অবস্থান আরো দৃঢ় করা।”

তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। কিন্তু এই সমালোচকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের গণগ্রেফতারের মধ্যে গণতান্ত্রিক কিছু নেই।”

এইচআরডব্লিউ বলছে, সম্প্রতি রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ১৫০ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টিও উঠে আসে। এই প্রসঙ্গে বলা হয়, “গণমাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়ে বলা হয়েছে যেখানে অভিযুক্ত করা হয়েছে বিএনপি এবং জামায়াত সমর্থকদের। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় ঐতিহ্যগতভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে থাকে।”

এছাড়াও প্রতিবেদনে বিএনপি নেতা সেলিমা রহমান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার হওয়া নেতা-কর্মীদের বিষয়টিও উঠে আসে।