ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় ponchogor_pic: পঞ্চগড় জেলার প্রায় সব নদীই নব্যতা হারিয়ে বালুচরে পরিনত হয়েছে। এই সব নদী পাড়ের প্রায় কয়েকহাজার কৃষক মরা নদীর বালুচর কে কৃষি উপযোগী করে  ইরি-বোরো ধান লাগিছেন।

ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ২২ টি নদী দেশের সর্ব উত্তরের জনপদ  পঞ্চগড় কে নানা ভাবে সমৃদ্ধ করেছে। এই নদীগুলো বর্ষাকালে দুকুল প্লাাবিত করে পলির সাথে নিয়ে আসে নুড়ি পাথর।

দেশী মিঠা পানির সুস্বাদু মাছ প্রায় সারাবছরই নদীগুলোতে পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক সৌন্দযর্ আর পঞ্চগড়ের পরিবেশ কে অত্যন্ত উপভোগ্য করে তুলেছে পাহাড় থেকে নেমে আসা এই নদীগুলো।

তাই পাহাড়ের নিচে সমতল এই জেলাটি কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদ পাথরে ভরা। পঞ্চগড় জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া                                                                                                                                                                                                                             মহানন্দা,ডাহুক,তিরনই,রনচন্ডি,বেরং,জোড়াপানি,সাঁও,করতোয়া,তালমা,চাওয়াই পাঙ্গা,কুরুম,পাম,পাথরাজ,ঘোড়ামারা,মরাতিস্তা,আতরাই,ভ’ল্লি,নাগর,সিংগিয়া,বহু,রসেয়ার উৎসমুখ ভারতে।

ভারতীয় কতৃপক্ষ এইসব নদীগুলোর উৎসমুখে বাঁধ,ব্যারেজ,সুইসগেট,জলাধার,ফিডার ক্যানেল ও রেগুলেটর নির্মাণ করে তাদের সেচ ও অন্যান্য কাজে পানির চাহিদা মেটাতে নদীগুলোর স্বাভাবিক গতিপথ কে আটকে দিয়েছে। ফলে এই নদীগুলো প্রাকৃতিক নাব্যতা হারিয়ে প্রায় মরে যাওয়ার মতো অবস্থা। নদীর বুকে গড়ে উঠছে মরুভুমি।

নিচে নেমে যাচ্ছে ভ’গর্ভস্থ পানির স্তর। জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার তেতুলিয়া উপজেলার বাংলাবাংন্ধা জিরোপয়েন্টের পশ্চিম উত্তর কোণে ভারত মহানন্দা নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করায় এ জেলার অনেক নদীই মরে যাওয়ার দিকে । এদিকে মরা নদীর বালুময় বুকে বালু কেটে আল বানিয়ে বোরো চাষ করছে পঞ্চগড়ের চাষিরা।

প্রায় সবকটি নদীর জেগে উঠা বালু চরে বর্তমানে শুরু হয়েছে বোরোচাষ। যে যতটুকু পারে এমন ব্যবস্থায় তারা চাষ করে বলে জানিয়েছে একজন চাষী। তিনি বলেন, এক থেকে দেড়ফিট বালি তুলে নিয়ে আল নির্মাণ করা হয়। তারপরই পানি পওয়া যায়। তাই আলাদা করে সেচ করতে হয়না।

তবে এই একটি আবাদ ছাড়া অন্য কিছুই করা যায়না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা । এদিকে ভারত কতৃপক্ষ শুষ্কমৌসুমে পানি আটকে রেখে যেমন জেলার নদনদীগুলোকে মরা নদীতে পরিনত করছে তেমনি বর্ষামৌসুমে বাঁধের মুখ খুলে দিয়ে বন্যায় প্লাবিত করছে বিস্তির্ণ এলাকা। জেলার পরিবেশবীদদের ধারনা এ অবস্থা চলতে থাকলে পঞ্চগড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে।