ল্যাপটপবিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপি ও নতুন মন্ত্রীদের প্রত্যেককে দেয়ার জন্য ল্যাপটপ প্রস্তুত রেখেছে সংসদ সচিবালয়। প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ল্যাপটপগুলো সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মন্ত্রী-এমপিদের দেয়া হবে। বাদ যাবেন না সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপিরাও।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, নবম সংসদের সরকারি ও বিরোধীদলীয় ৩৫০ এমপির জন্য দুই কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ল্যাপটপগুলো কেনা হয়েছিল। এরপর সংসদের ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বা আইটি সেল ল্যাপটপগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেটআপ দেয়।

গত বছরের জুন মাসে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনের আগেই এমপিদের হাতে ল্যাপটপগুলো তুলে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ হওয়ায় বর্তমান স্পিকার সরকারের টাকার সর্বোচ্চ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এগুলো বিতরণ থেকে বিরত থাকেন।

জানা যায়, চলতি মাসের ২৫ তারিখে এ ল্যাপটপগুলো বিতরণ নিয়ে একটি বৈঠক করবে সংসদ সচিবালয়। এ বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ল্যাপটপগুলো কবে বিতরণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজকের বাংলাদেশকে বলেন, ল্যাপটপগুলো তাড়াতাড়ি বিতরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে সংসদ। আসন্ন অধিবেশনেই এগুলো বিতরণ করা হবে। নবম জাতীয় সংসদের প্রত্যেক এমপির কার্যালয়ে ব্যবহারের জন্য ডেস্কটপ দেয়া হয়।

অভিযোগ ছিল, সবসময় এগুলো ব্যবহার করতে পারেন না তারা। তাই বহনযোগ্য ল্যাপটপের দাবি জানিয়ে আসছিলেন এমপিরা। এ নিয়ে সাবেক স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের কাছে অনেকে চিঠিও লিখেন। তাছাড়া সংসদের বৈঠকেও বিভিন্ন সময় বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমে ল্যাপটপের দাবি জানান তারা। এরই প্রেক্ষিতে তাদের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ল্যাপটপের ব্যবস্থা করা হয়।

এমপিদের মধ্যে বিতরণের জন্য সর্বশেষ মডেলের ল্যাপটপ কেনা হয়েছে। এইচপি ব্র্যান্ডের এসব ল্যাপটপ কোর আই ফাইভ-এর। রয়েছে ৪ গিগাবাইট র্যাম। আর ওজন এক দশমিক ৮ কেজি। সঙ্গে দেয়ার জন্য কেনা হয়েছে গ্রামীণফোনের মডেম। এছাড়া এসব ল্যাপটপে ব্যবহূত হয়েছে অরিজিনাল সফটওয়্যার। সব মিলে প্রত্যেকটি ল্যাপটপের দাম পড়েছে ৬৭ হাজার টাকা। বিতরণের পর এমপিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে সংসদ সচিবালয়। সংসদের লাইব্রেরিতে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র জানায়, সরকারের মেয়াদ শেষ হলে মালামাল ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক এমপি গড়িমসি করেন। এ নিয়ে আগে অনেক সংসদীয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সাবেক এমপি অনেকের কাছ থেকেই মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। তাই বিগত মেয়াদের ল্যাপটপগুলো বিতরণের বিপক্ষে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।