সাতক্ষীরায় পুলিশের গুলিতেসাতক্ষীরা: জেলার দেবহাটা উপজেলার নাংলা গ্রামে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে আনারুল ইসলাম (৩০) নামে এক জামায়াতকর্মী নিহত হয়েছেন।

এ সময় জামায়াত-শিবিরের হামলায় আহত হন দেবহাটা থানার ওসি তারক চন্দ্র বিশ্বাস, এসআই তানভির হাসানসহ ৫ পুলিশ সদস্য।

তবে জেলা জামায়াতের দাবি, পুলিশ আসামি ধরতে গিয়ে ওয়ার্ড জামায়াতের সদস্য আনারুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে।

দেবহাটা থানা পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নাশকতা সৃষ্টির জন্য  জামায়াত ও শিবিরকর্মীরা নাংলা গ্রামের বিলের পাশে জড়ো হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের প্রতিহত করতে এগিয়ে এলে তাদের লক্ষ্য করে  ইটপাটকেল ছোড়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন জামায়াতকর্মী আনারুল ইসলাম।

সাতক্ষীরা হাসপাতালে আনা হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আনারুল নাংলা গ্রামের আবদুল হান্নানের ছেলে।এ সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন দেবহাটা থানার ওসি তারক চন্দ্র বিশ্বাস, এসআই আনভির হাসান ও পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, গৌতম এবং মাহফুজুর।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, দুটি ককটেল ও দা উদ্ধার করেছে।

জামায়াতকর্মী আনারুল ইসলাম ও তার ছেলে ৩টি হত্যাসহ অসংখ্য নাশকতা এবং গাছকাটা মামলার পলাতক আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আব্দুল আজিজ জানান, যৌথবাহিনীর সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ আসামি ধরতে গেলে ওয়ার্ড জামায়াতের সদস্য আনারুল ইসলাম যৌথবাহিনীকে দেখে দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে গুলিবিদ্ধ আনারুলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।