এস.এস শোহান; বাগেরহাট লাশ উদ্ধার: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা এবং পাশ্ববর্তি পিরোজপুর জেলার সীমান্তবর্তী বিষখালী নদী থেকে মীর মোস্তফা কামাল (৩৬) নামে এক যুবকের উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মীর মোস্তফা কামাল ওরফে বাটুল মীর বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের আশরাফ আলী মীরের ছেলে। নিখোঁজের চারদিন পর মঙ্গলবার দুপুরে বিষখালী নদী থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রতিপক্ষরা গত ৯ জানুয়ারী বাড়ির কাছ থেকে তুলে নিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশটি নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পুলিশ। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান নিহতের ভাই মীর কামরুলের থানায় করা সাধারন ডায়েরীর উদ্দৃতি দিয়ে বলেণ, গত ৯ জানুয়ারী রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে মোস্তফা আর ফিরে আসেনি।

ওই রাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে খুঁজে না পেয়ে ১৩ জানুয়ারী নিখোঁজ মোস্তফার ভাই মীর কামরুল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট ও পিরোজপুরের সীমান্ত নদী বিষখালীতে স্থানীয় লোকজন অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

খবর পেয়ে কচুয়া থানার একদল পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের ভাই ওই লাশটি তার নিখোঁজ ভাইয়ের বলে সনাক্ত করেন।ওসি আরও জানান, নিহতের ডাক চোখে আঘাত রয়েছে। প্রতিপক্ষরা গত ৯ জানুয়ারী বাড়ির কাছ থেকে তুলে নিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশটি নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি।

গত বছরে কচুয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের একটি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে আগুন ও প্রতিমা ভাংচুরের মামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মীর মোস্তফাকে। এরপর সে আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় বসবাস করছিল।