teknaf polic (yaba)picটেকনাফ,কক্সবাজার: রাজনৈতিক উত্যপ্ত পরিস্থিতি ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা পাচার কিছুটা হ্রাস পেলেও আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।

সীমান্তে এখন নতুন করে ইয়াবা পাচারের ধুম পড়েছে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলো সতর্ক প্রহরায় থাকায় গত ৩ দিনে র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের পৃথক অপারেশনে ৮৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ও আটক হয়েছে দুই নারী পাচারকারী।

১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সাবরাং হারিয়াখালী সড়ক থেকে এএসআই হানিফের নেতৃত্বে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল ১৪ হাজার ইয়াবাসহ জেসমিন আক্তার (২০) নামে আরো এক নারী পাচারকারী আটক করে।

সে টেকনাফ শীলবুনিয়া পাড়া এলাকার আবুল ফয়েজের স্ত্রী। জব্দকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরহাদ জানান ধৃত পাচারকারীকে এর আগেও একই স্থান থেকে ইয়াবাসহ আটক করেছিল পুলিশ।

পরে জামিনে বেরিয়ে এসে সে আবারো ইয়াবা পাচারে জড়িত হয়ে পড়ে। এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য গত রবিবার কক্সবাজার র‌্যাব-৭ টেকনাফের লেদা এলাকার তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ তার স্ত্রী মিনারা বেগমকে আটক করেছিল।

অপরদিকে  ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন হ্নীলা বিওপি সদস্যরা সোমবার রাতে ফুলের ডেইল এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী দেলোয়ারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরো ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে। এ নিয়ে র‌্যাব পুলিশ বিজিবি ৮৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করলো, যার মূল্য আড়াই কোটি টাকার ও বেশি।

এদিকে টেকনাফ সীমান্তে র‌্যাব-বিজিবি ও পুলিশের ইয়াবা বিরোধী জোড়দার অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে এ অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দেশের যুব সমাজ ধবংসকারী এ পাচারকারীরা যাতে সহজে আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসতে না পারে সে ব্যাপারে বিচার বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি সর্তকতা অবলম্বনের দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল।