PIC-(001) BAKERGONJবাকেরগঞ্জ, বরিশাল:বাকেরগঞ্জের মৃত মানুষ জীবিত উদ্ধার চাঞ্চল্যকর  তথ্য পাওয়া গেছে। প্রায় ৮ মাস পূর্বে অপহরন করে হত্যা করে লাশ ঘুমের মামলার কথিত ভিকটিম মোঃ আরিফফুর রহমান (২১) কে গত সোমবার রাতে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরুল ইসলাম পিপিএমের নির্দেশে এস আই কামাল বরিশাল শহর থেকে উদ্ধার করেছে।

এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। থানা সুত্রে জানা যায়, ঢাকার এক ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা আতœসাত করে বাকেরগঞ্জের ভান্ডারিকাঠী গ্রামের এক প্রতারক একই গ্রামের একটি পরিবারের ৫ভাইসহ মোট ৭/৮ জনের নামে সাজানো অপহরন মামলা দায়ের করে তাদের জেল খাটানোসহ ওই পরিাবারগুলোকে নিঃস্ব করে দেয়ার অপচেষ্টা চালায়।

মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ভান্ডারিকাঠী গ্রামের আইয়ুব আলী হাওলাদারের পুত্র আরিফুর রহমানকে একই এলাকার রিপন খাঁ ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের হেলপার চাকুরি দেয়।

সেই সুবাদে আরিফ ট্রাকে বিভিন্ন টাইলসের মালামাল আনা নেওয়ার কাজে সহায়তা করতো এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা এনে মালিককে বুঝিয়ে দিতো। গত বছরের ২৯ মে কথিত ভিকটিম আরিফ ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মালামাল নিয়ে নারায়নগঞ্জে যায়। সেখান থেকে মালামালের মূল্য বাবদ ৩,২৯,০০০/- টাকা নিয়ে যাত্রাবাড়ীর ওই ব্যবসায়ীকে বুঝিয়ে না দিয়ে আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রিপন খা গত বছরের

২৯ মে যাত্রাবাড়ী থানায় সাধারন ডায়রী করেন। যার নং-১৭৪৭। পরবর্তীতে রিপন এলাকায় এসে কথিত ভিকটিম আরিফের পিতা-মাতাকে অনুরোধ করে তাহার ছেলেকে আতœসাতকৃত টাকা ফেরত দেয়ার জন্য। এতে আরিফের পিতা-মাতা কোনো কর্ণপাত না করায় অবশেষে রিপন খা নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়ীদের পরামর্শে কথিত ভিকটিম আরিফের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ২ জুন-২০১৩ একটি মামলা দায়ের করেন, নং-০৫।

উক্ত মামলাটি তদন্ত শেষে যাত্রাবাড়ী থানার তদন্ত কর্মকর্তা আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র নং- ৬৬৫ বিজ্ঞ আদালতে দায়ের করেন। উক্ত মামলায় কথিত ভিকটিম আরিফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। অপরদিকে আরিফের পিতা ছেলের অপকর্মের কথা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আসামী রিপন খাঁসহ তাহার আরো ৪ সহোদরসহ ৭/৮ জনের নামে তাহার ছেলে আরিফকে আসামীরা হত্যা করে গুম করেছে বলে একটি সাজানো মামলা দায়ের করে।

অথচ বাদী নিয়মিতভাবে তাহার ছেলে আরিফের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ রক্ষা করতো। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ কামাল পাশা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করতে সোর্স নিয়োগ করিয়া অবশেষে কথিত ভিকটিম আরিফকে মোবাইল কললিষ্টের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়ে উদ্ধার করেন।

এলাকাবাসী জানায়, ভিকটিম আরিফ ছোট বেলা থেকেই চুরি করার অভ্যাস ছিল। সে অত্র মামলায় পলাতক থাকাকালে বেশ কয়েক জায়গা থেকে টাকা-পয়সা ও মোবাইল চুরি করিয়া কিছুদিন পর পর এলাকা পরিবর্তন করিত।

থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরুল ইসলাম পিপিএম জানান, মিথ্যা মামলার ফলে ওই মামলার আসামীদের ৫ ভাই বিগত প্রায় ৮মাস যাবত বাড়ী-ঘর ছেড়ে পলাতক থাকায় তাহারা যেমনি মানবতর জীবন-যাপন করেছে, তেমনিভাবে তাহাদের পরিবার ও ছেলে-মেয়েরাও পথে বসার উপক্রম হয়েছিলো।

আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও জেল খাটার ভয়ে তারা নিন্ম আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত কর্তৃক তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। পুলিশ উক্ত পরোয়ানা বলে কতক আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছিলো।