নলছিটি,ঝালকাঠি: ঝালকাঠির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও প্রাচীনতম নলছিটি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসাটি চরম অবহেলা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দিনদিন পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

দক্ষিণবাংলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯১০ সালে দক্ষিণের জনপদের অবহেলিত মানুষের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারনের জন্য মাদ্রাসাটি নির্মান করেন।

এরপর পশ্চিম পাকিস্তানিদের উদাসিনতায় কেটে গেছে দীর্ঘ ৬০ টি বছর। কিন্ত ১৯৭১ সাল থেকে স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও তেমন কোন উন্নয়নের আচর লাগেনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ৩টি একাডেমিক ভবনের মধ্যে দুটি ভবনই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাদ্রাসার পশ্চিম পাশের ভবনের কলাম গুলোতে ফাটল ধরে প্লাষ্টার খসে পড়তে শুরু করেছে। এতে শ্রেণীকক্ষগুলো শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।

মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, বর্ষার মৌসুমে ছাদ দিয়ে পানি পরে। এতে প্রায়ই ছাত্র-ছাত্রীদের বই পুস্তক পানিতে ভিজে যায়। প্রতিষ্ঠানটির অপর এক সহকারী শিক্ষক সেলিম হোসেন জানান,  পিএসসি, জেডিসি, দাখিল, আলীম ও ফাজিল পরীক্ষায় পাশের হার প্রায় শতভাগ।

ইতিমধ্যে আলীম পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করার গৌরব করার অর্জন করেছেন এই মাদ্রাসারই এক কৃতি  ছাত্র। এ ব্যাপারে নলছিটি ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা বাহাউদ্দিন জানান,

প্রাচীনতম এই বিদ্যাপিঠটি এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। মাদ্রাসার ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত নতুন শ্রেণীকক্ষ, পুরাতন ভবন সংস্কার করা  অতীব জরুরী। অবকাঠামোগত ও উপকরনের সীমাবদ্ধতার সমস্যাবলি সমাধানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত জরুরী প্রয়োজন বলে তিনি আরো জানান।

নতুবা অর্ধসহা¯্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ার  তিনি আশংঙ্কা করছেন।