হাবিবুর রহমান,ঢাকা:বাণিজ্য মেলায় তীব্র শীত ও শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দর্শনর্থী ও ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। শুক্রবার  ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে মেলায় দর্শনর্থীদের বাড়ছেই।

এর মধ্যে মহিলা ও ছোট ছোট শিশু, কিশোর-কিশোরীদের সমাগম লক্ষণীয়। মেলা প্রাঙ্গণের সড়কগুলোতেও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ভিড় ঠেলে সামনে এগুতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরজমিন মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।

১১ জানুয়ারি বসেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১৯তম আসর। প্রতিবছর ১ জানুয়ারি শুরু হলেও এবার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ১০ দিন পেছানো হয়।

ঘুরে দেখা যায়, মেলা গেটে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন আগতরা। টিকেট কাটতে লম্বা লাইন। একইভাবে প্রবেশ করতে হয়েছে মেলায়। যারা গাড়ি নিয়ে এসেছেন তারা সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হয়েছেন। প্রতিটি গাড়ি পার্কিং করতে সময় লেগেছে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা।

মেলায় মহিলাদের ব্যবহার সামগ্রীর স্টল ও শিশুদের খেলনার দোকানে ভিড় বেশি।ব্যবসায়ীরা জানান, মেলা শুরুর দিকে তেমন কোনো বেচা-কেনা ছিল না। ছিল না তেমন দর্শণার্থী। আজ ছুটির দিন হওয়ায় মেলা জমে উঠেছে।

যমুনা ফিউচার পার্কে কর্মরত রাসেল বলেন, আজ ছুটির দিন থাকায় মেলায় এসেছি। ভিড় বেশি হওয়ায় ঝামেলা মনে হচ্ছে। মেলার ভেতরে ও বাইরে সকল ধরনের খাবারের মূল্য বেশি। এসি টিভি ফ্রিজসহ বড় সব পণ্যে ছাড় দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কোনো ছাড় দেয়া হয়নি।

এদিকে মেলার আগতদের হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি।  ছুটির দিন আগারগাঁও ও এর আশপাশের এলাকায় দর্শনর্থীদের যানবাহনের কারণে যান চলাচলের চাপ বেড়ে যায়। লেগে যায় যানজট। কখনো তা অসহনীয় হয়ে ওঠে। এ পরিস্থিতি ওই এলাকার মানুষের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে মেলামুখী মানুষের স্বস্তি ফেরাতে গাড়ি চলাচলে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।

ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সূত্র মতে, গাবতলী থেকে যেসব যানবাহন ঢাকার কেন্দ্রস্থলের দিকে যাবে, সেগুলোকে আগারগাঁও-শ্যামলী লিংক রোড ব্যবহার না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে আসাদগেট, মানিক মিয়া এভিনিউ সড়কে চলাচল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

একইভাবে ফার্মগেট হয়ে মিরপুরগামী যানবাহনগুলো বিজয় সরণি সড়কে না গিয়ে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনের বাঁ পাশের নতুন সড়ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।