আ’লীগ সভাআমিনুল ইসলাম, ঢাকা: আ’লীগের সভানেত্রী ও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ছাড়তে হবে। সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদ করলে বাংলার মাটিতে কার ছাড় নয়। সেই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস বন্ধ করতে যা যা প্রয়োজন তাই করা হবে। কোনো ধরনের জঙ্গিবাদী-সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাংলাদেশে চলবে না। রাজনীতি করতে হলে এগুলো বন্ধ করতে হবে। গণতান্ত্রিক পথে আসতে হবে। এগুলো জনগণ মেনে নেবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতই মুরব্বি থাকুক, যত বড় শক্তিই পাশে দাঁড়াক জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কেউ রক্ষা করতে পারবে না। জনগণ আমাদের পাশে আছে। জনগণকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেণ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিতে ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে। বিএনপি-জামায়াতকে এসব সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী কর্মকা- বন্ধ করতে হবে। রাজনীতি করতে হলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি করতে হবে। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

এই নির্বাচনের পর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে আরেকটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, নানা বাধা ও প্রতিবন্ধকতার পরেও প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে জনগণ তাদের (বিএনপি-জামায়াত) প্রত্যাখ্যান করেছে। জঙ্গিবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হলে হিন্দুদের ওপর ২০০১ সালের চেয়ে ‘শতগুণ বেশি’ নির্যাতন করত বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো: নাসিম , আ: লতিফ সিদ্দিকী, শিক্ষামন্ত্রী  ‍নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধূরী মায়া, সহ আ’লীগের শীর্ষ নেতারা।