ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অর্ধেক কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছি। বাকি কাজ তরুণরা করবেন। কারণ তথ্যপ্রযুক্তির কাজ মূলত তরুণদের। তাই তরুণদের ওপরই তাকিয়ে আছে দেশ।

শনিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৬ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন তিনি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) কর্মকর্তাদের পুরো ঢাকা মহানগরে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক চালু করার চ্যালেঞ্জ দেন।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, চুরি-দুর্নীতি বন্ধ করার মূল অস্ত্র হলো তথ্যপ্রযুক্তি। এর ব্যবহারে এসব অপকর্ম খুব সহজেই দূর করা সম্ভব।

এসময় মন্ত্রী তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন।

ডিজিটাল দেশ গড়ার পেছনে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার বিষয়েও কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতির তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও সার্ভিসেস- এই তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে এই তিন খাত থেকে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি প্রচুর আয় সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ওই তিন খাতে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে রোল মডেল হিসেবে তৈরি করা সম্ভব হবে। খুব অল্প সময়ে আমাদের দেশের প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান (ওয়ালটন, আমরা, এ্যাপলম্ব টেক) ডেল, স্যামসং, এইচপি’র মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে ছাড়িয়ে যাবে।

এসময় তিনি আইটি খাতের নানা উন্নয়নের দিক তুলে ধরার পাশাপাশি দেশে বিনিয়োগের জানালা উন্মুক্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ হার্ডওয়ার সেক্টরে ট্যাক্স মওকুফ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বিসিএস‘র সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ প্রমুখ।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও বিসিএস এ মেলার আয়োজন করে। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলা শুরু হয়। তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের পদচারণায় মুখরিত থাকে মেলাটি।

** ভবনের সম্পূর্ণ আইটি সমাধান স্পেকট্রামে

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৬