sadek-lago-viআসাদুজ্জামান মুরাদ, দেশ প্রতিক্ষণ, বরিশাল: আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী রাজনীতির কর্ণধার। শুধু আওয়ামী লীগের কর্ণধার বললে কিছুটা ভুল হবে। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক। সকল দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা ভরে দেখেন তাকে। তার বাবা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ছিলেন গরীব মেহনতি মানুষের নেতা।

তবে এ শহীদ নেতা ‘নেতার’ মতো আচরন করেন নি কখনো। খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণের বন্ধু ছিলেন আব্দুর রব সেরনিয়াবাত। তারই সুযোগ্য পুত্র আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। যার হাত ধরে-ই বিশৃঙ্খল বরিশালে ফিরেছে শৃঙ্খলা, বিরাজ করছে শান্তি। দক্ষিণাঞ্চলের এই রাজনৈতিক অভিভাবকের উত্তরসূরী সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহ।

খুব স্বল্প সময়ে সকল বয়সী মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এই তরুন নেতা। সাদেক আব্দুল্লাহ’র মাঝেই আগামী দিনের নেতৃত্ব খুঁজে পাচ্ছেন প্রবীণ নেতারা। তবে সম্প্রতি বরিশাল মহানগর আ’লীগের ৩০টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা সাদিক আব্দুল্লাহকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করার প্রস্তাব রেজুলেশন আকারে প্রধানমন্ত্রীর ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় পৌঁছান।

এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করার প্রস্তাব রেজুলেশন আকারে প্রধানমন্ত্রীর ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌছানোর সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনেকের মতে, ‘সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মাঝেই দেখা যায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের প্রতিচ্ছবি, আর যার শরীরে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতার রক্ত তার চেয়ে কে ভালবাসতে পারবে আ’লীগকে। যা আরো একবার প্রমান হলো বরিশালে শান্তি প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে।

তরুন এ নেতার প্রশংসার পঞ্চমুখ ছিলেন বরিশাল জেলা ও মহানগর আ’লীগের সিনিয়র নেতারাও। কারন তার অক্লান্ত পরিশ্রমে বরিশাল নগরী পরিণত হয়েছে আনন্দের নগরী। বরিশাল মহানগর আ’লীগ নেতা সাদেক আব্দুল্লাহর সুষ্ঠু নেতৃত্বে সুন্দর ও শান্তি ফিরেছে বরিশালে।

তার ডাকে বরিশাল মহানগরের ও ওয়ার্ড আলীগ এবং ১০ উপজেলাসহ সকল নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে ওঠে। প্রতিটি এলাকায় তার নেতৃত্ব ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু বরিশাল নয় বরিশালের অজপাড়া গায় একটি নাম উচ্চারিত হচ্ছে তা হলে সাদিক আবদুল্লাহ। তাই বরিশাল মহানগর আলীগের কর্নধর হিসেবে তাকেই দেখতে চায় তৃনমূল। এদিকে নেতা-কর্মীদের কোন মানুষের বিপদের কথা শুনলেই ছুটে যান সেখানে তিনি। সব মিলিয়ে এই তরুন নেতা কর্মীদের মন জয় করে নিয়েছেন।

যার ফলে তরুন নেতা সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহ যেভাবে মানুষের মতে জায়গা করে নিচ্ছেন তাতে বলাই যায়, বরিশালের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আকাশে উজ্জল নক্ষত্র তিনি।  তাই তাকেই বরিশাল মহানগর আলেিগর নেতৃত্বে রাখতে গত  ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার জেলা আ’লীগের সভায় সাদিক আব্দুল্লাকে মহানগর সম্পাদক করার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রেরন করা হয়।

সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক করার প্রস্তাব রেজুলেশন আকারে প্রধানমন্ত্রীর ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌছানোর সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সেরালস্থ বাসভবন প্রাঙ্গণে সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা আ’লীগের সভাপতি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ এমপি।

সভা পরিচালনা করেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো: ইউনুস এম.পি। ২০১২ সালের সম্মেলনের পর গত সপ্তাহে পূর্নাঙ্গ কমিটি সভানেত্রী’র স্বাক্ষরের মাধ্যমে পাশ হওয়ায় শনিবার ১ম কার্যনির্বাহি এই সভা পবিত্র কোরান তেলোয়াত এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়।

প্রথমে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন নবগঠিত কমিটির দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ আবদুল কাদের। স্বাগত ও দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্যে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহবান জানিয়ে আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করতে অতিতের মত এখনও দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি-জামায়াত দেশে অরাজগতা সৃষ্টি করে শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ব্যর্থ হিসেবে তুলে ধরার ষড়যন্ত্রের ব্যর্থ চেস্টা করেছে এবং করছে।

কিন্তু দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইসব ষড়যন্ত্র একে একে বানচাল করে দেশকে উন্নযন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিচ্ছে।’ কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলুর বক্তব্যে মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নাম রেজুলেশন আকারে কেন্দ্রীয় আ’লীগের কাছে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। সভায় সকল বক্তার বক্তব্যে তার প্রস্তাবের সমর্থনে মত প্রকাশ করেন।

জেলা আ’লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু জেলা আ’লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে প্রচার সেলের সদস্য হিসেবে নিজেকে মনে করে সকল অপপ্রচারের বিরদ্ধে তাৎক্ষনিক ভাবে তথ্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে জন সাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃস্টির অপপ্রচারকে মোকাবেলা করার আহবান জানান।

নব গঠিত জেলা কমিটিতে হাসানাত পরিবারের সদস্যদের স্থান পাওয়া নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনকের হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিশেষ করে সারা দেশের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মামলা, হামলা, নির্যাতন এর মাধ্যমে দু:সহ অবস্থায় রাজনীতি করতে হয়।

কিন্তুৃ ৬ বছরের শিশু ছিলাম তাই সেই সময়ের নির্যাতন কে ইতিহাস ও পুর্বসূরীদের মাধ্যমে জেনেছি, কিন্তু ২০০১ এর ষড়যন্ত্র ও কারচুপির নির্বাচন পরবর্তী জামায়াত বিএনপি জোট সরকারের প্রশ্রয়ে সহিংসতায় সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলের নেতাকর্মীদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেরাতে হয়। ‘আর সেই দু:সময়ে এই সাহান আরা বেগম মাতৃস্নেহে সকল নেতাকর্মীর খোঁজ খবর সহ মামলার জামিন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ভাবে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন।

তৎকালীন সময়ে তার দুই পুত্র সেরনিয়াবাত মঈন আব্দুল্লাহ্ ও ছোট পুত্র সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ্ সকল হামলা-মামলা ও কারাবাসের মত নির্যাতনকে উপেক্ষা করে বরিশাল অবস্থান করে নেতৃত্বশূন্য ছাত্র ও যুবলীগের কর্মীদের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করেন। মঈন ও আশিক দুই ভাই এর সাহসী  সেই সাংগঠনিক দক্ষতার কারণেই আজ ছাত্র ও যুবলীগ শক্তিশালী সংগঠন।’ ‘তাই এ পরিবারের সদস্যরা দলের বিগত দু:সময়ের কর্মকান্ডের মাধ্যমেই যে কোন কমিটিতে স্থান করে নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।’

সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ্’র পক্ষে বিভিন্ন বক্তার সাথে একমত হয়ে সভাপতির (আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ) উদ্দেশ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু বলেন, ‘দক্ষিণ বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবকই শুধু নন, আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের অভিভাবকও, তাই আপনার কাছে জেলা আ’লীগের এবং মহানগর আ’লীগের ৩০ টি ওয়ার্ড নেতা কর্মীর আস্থার নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ্’কে সমর্থনের এই দাবিকে সভানেত্রীর কানে পৌছানোর অভিভাবক হিসেবে আপনার নৈতিক অধিকার।’ ‘আপনি যেমন নেতা হিসেবে আমাদের কাছে আস্থা’র প্রতিক, তেমনি পরবতী প্রজম্ম ও শ্রেণির কাছে সাদিক আব্দুল্লাহও আস্থার প্রতিক।

যুবরত্নকে (সাদেক আব্দুল্লাহ্) বর্তমান ভোটার তালিকার প্রায় ৫৫ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব কারী এই প্রজম্মের দাবিকে অগ্রাহ্য না কারে আপনি অবশ্যই সভানেত্রীর কাছে পৌছাবেন এটাই জেলা আ’লীগের সকলের প্রতাশা।’