ictদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডে ‘আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড ২০১৬’ এ ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইটিইউ মহাসচিব হাওলিন ঝাও।

আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার (আইটিইউ) ‘রিকগনিশন অফ এক্সিলেন্স’ পুরস্কার পেল বাংলাদেশের ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ প্রকল্প। আগামী বছর ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণের পর ২০১৮ সালের এপ্রিল নাগাদ এ স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার।

প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, উদ্ভাবনী আইসিটি সেবার স্বীকৃতি হিসেবে আইটিইউ বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পকে এ পুরস্কার দিয়েছে।

‘বেটার সুনার, একসেলেরেটিং আইসিটি ইনোভেশন টু ইমপ্রুভ লাইভস ফাস্টার’ স্লোগান নিয়ে ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বৈশ্বিক উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করা।

আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীতে এবার বিশ্বের ১০০টি দেশের প্রায় ৪ হাজার সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতের শীর্ষ ব‌্যক্তিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির প্রধান শাহজাহান মাহমুদসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা যোগ দেন এ আয়োজনে।

এবারের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নিজস্ব স্টল ছিল। এ স্টলে ছিল বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ এর রেপ্লিকা।

২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণে ‘স্যাটেলাইট সিস্টেম’ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।

এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে সরকার আশা করছে।