imagesদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : ভুলে ভরা পাঠ্যবই, সঠিক পড়তে যাবো কই-সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি এই প্রশ্ন রেখে পাঠ্যবই ভুল ও সাম্প্রদায়িক মুক্তকরণ-এর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বর পাঠ্যবই ভুল ও সাম্প্রদায়িক মুক্তকরণ-এ আমাদের দাবি শীর্ষক এক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে এ-দাবি জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।

অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করে সাংবাদিক প্রবীর শিকদার বলেন- আমার দৃঢ় বিশ্বাস, শেখ হাসিনার অজান্তেই পাঠ্যবই-এ ভুল আর সাম্প্রদায়িক ভাবধারা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কারা ভুল আর সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তি সৃষ্টির মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে আমাদের কোমলতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অন্ধকার।
বোয়াফ প্রতিষ্ঠাতা কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, তথ্য বিকৃতি ও বাক্য গঠনের ভুলগুলো শুধু অদক্ষতাই নয়, এটি অমার্জিত অপরাধ; যা ভবিষ্যত প্রজন্মের শিক্ষার মেরুদণ্ড ধ্বংসের ষড়যন্ত্র। অন্যদিকে অত্যন্ত সুকৌশলে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে তথাকথিত হেফাজতে ইসলামের দাবিকে বাস্তবায়নের পথ অনুসরণ করেছে; যা গত বছরে পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী ভাবধারা প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছিল হেফাজত। আর পঞ্চম শ্রেণিতে প্রয়াত অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের বই কবিতাটি বাদ দেওয়ার মাধ্যমে তা আরও স্পষ্ট ও প্রমাণিত হয়েছে।

কবীর চৌধুরী তন্ময়’র সভাপতিত্বে এ-সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি কবি মুহাম্মদ আবদুল খালেক, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এমএ জলিল, মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ, গণমোর্চার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মাসুম, লোকশক্তি পার্টির সভাপতি শাহীকুল আলম টিটু, বোয়াফ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নাঈম আমহেদ নীড়, সদস্য রাকিব সজল, বাবু পাঠান, সাজেদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান নাঈম, মাঈনুদ্দিন মুরাদ প্রমুখ