downloadদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : বাংলাদেশের মোট ৮৩ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের তৈরি পোশাক খাতে ৪৫ লাখ শ্রমিক কর্মরত। তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী। পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় নিয়ে এ শিল্পকে পরিবেশবান্ধব করার চেষ্টা করছি আমরা। তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার।

সুইজারল্যান্ডের দাভোস শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ৪৭তম বার্ষিক সম্মেলনে ‘শেপিং এ নিউ ওয়াটার ইকোনমি’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের অবদান বিশাল। এ শিল্পে শ্রমিকের অধিকার, কর্মস্থলের নিরাপত্তা, মানোন্নয়নসহ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে মূল বেতন ৭৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গ্লোবাল ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারদের সুপারিশের ভিত্তিতে ৩ হাজার ৭৮০টি কারখানার সমীক্ষা হয়েছে। প্রতিটি কারখানায় পেশাগত নিরাপত্তা কমিটি রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এ শিল্পকে পরিবেশবান্ধব করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৮টি কারখানার এলইইডি সনদপত্র রয়েছে। বিশ্বের ১০টি শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৭টি রয়েছে বাংলাদেশে। এ খাতে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী দূষিত পানি শতভাগ শোধন এবং পানি ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৫ সাল থেকে ‘২০৩০ ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপ’ (ডব্লিউআরজি) এর সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার।

পানিসম্পদ সংকট বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ২০০৮ সালে গঠিত ‘২০৩০ ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপ’ এর সদস্যদের মধ্যে রয়েছে-ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ এবং ব্যবসায়িক অংশীদারদের একটি কনসোর্টিয়াম: দ্য ব্যারিল্লা গ্রুপ, কোকা-কোলা কোম্পানি, নেসলে এসএ, নিউ হল্যান্ড এগ্রিকালচার, এসএবি মিলার পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং সিনজেন্টা এজি।

সবার জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য নিরাপদ পানি এবং পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।