Bipu20141125143507দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানিয়েছেন বিশ্ব বাজারে তেলের দাম আবার ‘ঊর্ধমুখী’ হওয়ায় সরকার এখনই জ্বালানি তেলের দাম কমাচ্ছে না।

এমনকি আগামী এক বছরেও তেলের দাম কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আজ বুধবার জাতীয় সচিবালয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারির নতুন ইউনিট গঠনের জন্য ডিজাইন তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গে মালয়েশিয়া টেকলিপ এবং ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দুই ধাপে তেলের দাম কমানোর কথা ছিল। আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে। তাই এখনই তেলের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি আগামী বছরেও এই দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখা ‍যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, সরকারের কাছে বিপিসির ভর্তুকির পরিমাণ এখনো প্রায় ১৬ থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে না তেলের দাম সমন্বয় করা যাবে।

তবে গত নভেম্বরে প্রথমে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং পরে নসরুল হামিদ জানিয়েছিলেন, এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা কমাবে সরকার।

তখন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বিশ্ববাজারে বর্তমানে তেলের দাম উঠা-নামা করছে। তাই দেশে তেলের দাম খুব বেশি কমবে না। তবে কিছু কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আলোচনার পরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবার অকটেন ও পেট্রোল লিটারে ১০ টাকা এবং কেরোসিন ও ডিজেল লিটারে ৩ টাকা কমায় সরকার। কমানোর ফলে অকটেনের দাম কমে দাঁড়ায় ৮৯ টাকা, পেট্রোল ৮৬ এবং ডিজেল ও কেরোসিন ৬৫ টাকায়।

এর আগে ওই বছর ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছিল সরকার। তখন প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা এবং কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।