1477304430369দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির গোপন কথা জানতে কী আমাদের বঙ্গভবনের আশ্রয় নিতে হবে? বিএনপির গোপন কথা বলার জন্য তাদের দলই যথেষ্ট। যাদেরকে নিয়ে সংলাপে গেলেন, তাদের সবাইকে মির্জা ফখরুল সাহেব বিশ্বাস করেন? ’

সোমবার রাজধানীর হোসনি দালানের সামনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রয়াত এম এ আজিজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভা ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতার নামে মামলা আছে। তাই তারা জেল-জুলুমের ভয়ে গোয়েন্দাদের কাছে ঘরের কথা ফাঁস করে দেয়। এই সূত্র ধরেতো অনেকেরই অনেক তথ্য জানার কথা।’

বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য একেবারেই স্ববিরোধী এমন দাবি করে কাদের বলেন, ‘তিনি (মির্জা ফখরুল) রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন এমন একজন ব্যক্তির নাম উদ্ধৃতি করেছেন। এতে বঙ্গভবনের সাথে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের যোগসাজশে গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। আবার তিনি (মির্জা ফখরুল) বললেন- কে এম হাসানের নাম তারা পাঠায়নি। মানে হলো ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না।’

তিনি বলেন, ‘আপনি একদিকে বলছেন গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে। অন্যদিকে বলছেন আপনারা এমন নাম পাঠাননি। এটা আপনার স্ববিরোধী অবস্থান। যখন বলছেন নাম পাঠাননি তাহলে গোপনীয়তা ভঙ্গের বিষয় কেন আসলো? আসলে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম) কথার ফাঁদে আটকে গেছেন। আবার আমাকে বলছেন বক্তব্য প্রত্যাহার করতে।’

কাদের বলেন, আমি শুধু বলতে চেয়েছি আওয়ামী লীগের কোনো চয়েস নেই। কিন্তু বিএনপির ইতিহাস বলে সাংবিধানিক পদে সবসময়ই তাদের দলের লোক প্রয়োজন। বিএনপি ক্ষময়তা থাকাকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজ তো বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। আর কে এম হাসান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক তাকে প্রধান উপদেষ্টা বানানোর জন্য বিচারপতিদের বয়স দুই বছর বাড়িয়েছেন। এত পেয়ারের লোক বেঁচে থাকতে তাদের (বিএনপি) চয়েসে থাকবে না তা কেমন করে হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে নিজেরা নিজেদের উপর বিশ্বাস করুন, স্ববিরোধিতা পরিহার করে ইতিবাচক রাজনীতি করুন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের প্রত্যাশা হলো নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটিতে যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্যক্তিকে রাখা হয়। এটা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করা নিয়ে নেতাদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, সভায় সভাপতিত্বে শাহে আলম মুরাদ কেন। তিনি তো সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। এ সংগঠনে তো অনেক সহ-সভাপতি আছে। তারা এখানে উপস্থিত থাকার পর কেন মুরাদ। সভায় সভাপতি উপস্থিত না থাকলে সহ-সভাপতি সভাপতিত্ব করবেন এটাই সংগঠনের নিয়ম।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।