প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা4নিজস্ব প্রতিবেদক : তৈরি পোশাকের বাজার ধরে রাখতে এবং রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বৈচিত্র ও বাজার সম্প্রসারণে পোশাক কারখানা মালিকদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা অ্যাপারেল সামিট-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। তৈরি পোশাক শিল্পের বড় এই সম্মেলন আয়োজন করেছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এবারের সামিটের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘টুগেদার ফর এ বেটার টুমোরো’।

পোশাক রপ্তানিকারকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোশাকের নতুন নতুন বাজার তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী পোশাকে বৈচিত্র আনতে হবে। একই সঙ্গে বর্তমান পণ্যে অধিক মূল্য সংযোজন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রপ্তানি পণ্যের তালিকা খুব বড় নয়; অনেকটা পোশাক শিল্প নির্ভর। এছাড়া এ রপ্তানি মূলত উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের মধ্যে হয়; এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়। রপ্তানি পণ্যের তালিকা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে রপ্তানিকারকদের আরও মনোযোগী হতে হবে।

পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা স্বাধিনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে। তাদের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব ধরণের সহায়তা বর্তমানে দিচ্ছি এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর ফিল্ড অপারেশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গিলবার্ট ফুসান হাংবো, বাংলাদেশের শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

উদ্বোধনী সেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান; সহ-সভাপতি এস.এম. মান্নান কচি, মাহমুদ হাসান খান, মোহাম্মাদ নাসির প্রমুখ।

সম্মেলনে ৩টি সেশনে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখবেন। সেশনগুলো হলো- বিজনেস পলিসি অ্যান্ড ইনভারমেন্ট: টুওয়ার্ড এ বেটার বাংলাদেশ, কোলাবোরেটিভ অ্যান্ড রেসপনসিবল সার্সিং ফর সাসটেইন্যাবল গ্রোথ এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাষ্ট্রি: ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড দ্য রোড অ্যাহেড।

সেশনগুলোতে যেসব বিষয় অগ্রাধিকার পাবে তা হলো-শিল্পমুখী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য কনডাকটিভ বিজনেস, পরিবেশ ও নীতি, তৈরি পোশাকরে সাপ্লাই চেইন টেকসই করার জন্য স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত উদ্যোগ ও টেকসই অর্থনীতির গুরুত্ব কতখানি, শিল্পের আধুনিকীকরণ কেন গুরুত্বপূর্ন, পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি বিষয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো অ্যাপরেল সামিটের আয়োজন করেছিল বিজিএমইএ। তাজরীন অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজা ধসের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত নিয়ে যে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠে গার্মেন্ট খাতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থিতিশীল খাত হিসেবে তুলে ধরতে প্রথমবারের মতো ঢাকা অ্যাপারেল সামিট অনুষ্ঠিত হয়।