photo-1478597376ওয়াহিদুল হক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের পাওয়ার গ্রিডের ১৫ শতাংশ শেয়ার অফলোড করা হচ্ছে এ খবর পুরোনো। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) অনুমোদন শেষে এবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে পুরো প্রক্রিয়া। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির সুপারিশে শেয়ার অফলোডের প্রক্রিয়া শুরু হতে বাকি রয়েছে কেবলমাত্র বিএসইসি’র অনুমোদন।

পুঁঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্র মালিকানাধীন পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য নতুন করে ১৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করবে। এর জন্য একটি উচ্চ পদস্থ কমিটির কাছে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি এ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি কোম্পানিগুলোর শেয়ার পর্যায়ক্রমে পুঁজিবাজারে অফলোড করা হবে। মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এ কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পাওয়ার গ্রীডের ১৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অনুমোদনের বিষয়টি ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে অফলোডের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। তাই এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি কমিটিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কমিটি ন্যূণতম সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট পেশ করেছে’। এদিকে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে নাখোশ বলে জানা গেছে। পাওনা টাকা মেটাতে ইতিমধ্যে পিডিবি’র কাছে পাওয়ার গ্রিডের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার শেয়ার হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে নতুন করে শেয়ার অফলোডে রাজি নয় পিডিবি। কোম্পানির মালিকানার অধিকাংশ অংশ পিডিবি’র মালিকানায় থাকায় বিদ্যমান শেয়ার বিক্রি করেই প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনের ব্যাপারে আগ্রহী রাষ্ট্রয়াত্ব এ বিদ্যুৎ সংস্থা।

এর আগে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছ থেকে কেনা সঞ্চালন অবকাঠামোর বিপরীতে তাদের নামে ২৫ কোটিরও বেশি নতুন শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয় পাওয়ার গ্রীড। সিদ্ধান্তটি এজিএমে অনুমোদনও হয়। এতে বিপিডিবি প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ২৫ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার শেয়ার অভিহিত মূল্যে পেয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় (২৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকারও বেশি। চলতি অর্থ বছরের অর্ধ-বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী পাওয়ার গ্রীডের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৭৩ টাকা। যা আগের বছরে একই সময়ে ১.৩০ টাকা ছিল। এ হিসেবে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে ০.৪৩ টাকা বা ৩৩.০৭ শতাংশ। বর্তমানে পুঁজিবাজারে পাওয়ার গ্রীডের ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ২০০৬ সালে শেয়ারগুলো পুঁজিবাজারে ছাড়া হয়েছে। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ৫১৮ কোটি টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪৬ কোটি ৯ লাখ ১২ হাজার ৯৯১। এর ৭৬.২৫ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৮.৪৫, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.৭৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে বাকি ৪.৫৫ শতাংশ শেয়ার।