1473338343নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে একটা গণতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিনি সব সময়ই নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবেই স্বাধিকার ও ভাষা আন্দোলন গড়ে তুলে বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার লেকচার থিয়েটারে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবদুল বারী উকিলের এক আদর্শিক রাজনীতির মূর্ত প্রতীক’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ভাষা সৈনিক আবদুল বারী উকিল ফাউন্ডেশন উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কারণে পাকিস্তান আমলে আওয়ামী লীগকে কেউ সন্ত্রাসী দল বলতে পারে নাই। পাকিস্তান সামরিক আইন দ্বারা আন্দোলন বার বার বাধাপ্রাপ্ত হলেও কোনো সময়ই বঙ্গবন্ধু তার পথ ছেড়ে বিচ্যুত হননি। তিনি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য লড়াই করে গেছেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল বিদেশের আদালতে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত হবে এটা আমাদের গর্বের বিষয় নয়, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। যদিও দলটি তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য এখন একটা সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ বা আওয়ামী লীগ করাটা খুব কঠিন ছিল। কারণ পাকিস্তান আমলে যারা আওয়ামী লীগ করতো তাদের অনেক নির্যাতন পোহাতে হতো। সে সময় যারা আওয়ামী লীগ করতো তাদের ঠিকানা ছিল জেলখানা। সেটাকে সহ্য করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কথা বলা কঠিন ছিল। আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ ও সে সময়কার পরাধীন পাকিস্তানের মধ্যে বিরাট পার্থক্য আছে।

ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদেরকে বুঝতে হবে বঙ্গবন্ধু ও তার সহযোগীদের চিন্তা, কল্পনা ও কাজ-কর্মে শুধু আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশকে দেখতেন। তাই তাদের অনুসরণ করতে হবে। কারণ তারা অনুসরণীয় পুরুষ। তাহলে বর্তমানে যারা রাজনীতি করছেন তারা দেশের জন্য যথেষ্ট অবদান রাখতে পারবেন।

ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক শাহনাজ বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পর্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন বক্তব্য রাখেন।