3bg20170227165403দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : দেশের ৭৩ শতাংশ দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হয় বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট থেকে তথ্য নিয়ে। বাকিগুলো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ থেকে পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত) মো. শামসুল আরেফিন।

আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে চট্টগ্রামে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এবং জার্মানভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা জিআইজেড যৌথ আয়োজনে ‘দুর্নীতি বিরোধী অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রশিক্ষণ কর্মশালার’ সমাপনী দিনে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মো. শামসুল আরেফিন বলেন, দুর্নীতির চিত্র বড়ই বিচিত্র। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে একাই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। তবে দুদকের একার পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। সংবাদকর্মীদের লেখনীর মাধ্যমে দেশকে জানিয়ে দিতে হবে, সতর্ক করতে হবে। তাহলে দেশ, জাতি উপকৃত হবে, মানুষ ভোগান্তিমুক্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, মিডিয়া ছাড়া বড় রাঘববোয়াল, শিল্পগ্রুপ কিংবা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের তথ্য দেওয়ার মতো সাহসী নেই। এজন্য আমরা চাই, মিডিয়ায় বেশি বেশি রিপোর্ট আসুক। তবে দুর্নীতি হয়ে গেল, তারপর সংবাদ প্রকাশ হলে আমাদের তেমন সুবিধা হয় না। তথ্য দিতে হবে ঘটনা ঘটার আগেই। তাহলে সেই দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে পারবে দুদক।

সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আলী আর রাজি, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুকুর রহমান, সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিক এবং চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ।

প্রশিক্ষণ নেওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তারা টিভির চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি নিরুপম দাশগুপ্ত । দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরীও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচদিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়।