full_369258640_1437804998নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৩ হাজারের বেশি। বিগত পাঁচমাসে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার এ হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটারি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

পুঁজিবাজার উর্ধ্বগতি পাওয়ার পরপরই বাজারে নতুন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে একদিকে যেমন নতুন বিনিয়োগকারী বেড়েছে, তেমনিভাবে বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়া অনেক বিনিয়োগকারী আবার ফিরে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধ্বস পরবর্তি সময়ে পুঁজিবাজার থেকে যেসব বিনিয়োগকারী বের হয়ে গেছেন, তাদের অনেকেই আগের নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলো থেকে বের হয়ে নতুন অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। অনেকে মার্জিন ঋণে থাকা অ্যাকাউন্টগুলোর নিয়ন্ত্রন না থাকায়ও নতুন একাউন্ট খুলে বিনিয়োগ করছেন। বিগত অর্থবছরের অক্টোবরে যেখানে মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ২৯ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪টি, সেখানে পাঁচ মাসের মেয়াদে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়ে ২৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৩তে এসে পৌঁছেছে। অথচ আগের অর্থবছরে নবায়ন না করায় প্রায় আড়াই লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

ডিএসই ও সিডিবিএল সূত্রে জানা যায়, স্মরণকালে সবচেয়ে বেশি বিও অ্যাকাউন্টের পরিমান ছিল ২০১০-১১ অর্থবছরে। সে সময় মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৪ লাখ। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ইস্যুয়ার কোম্পানির মূলধন উত্তোলনের পরিমান ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রায় ৩৪.৩৩ শতাংশ বা ৪৪৮ কোটি টাকা কমে আসে। পরবর্তি অর্থবছরে ১১ কোম্পানির মাধ্যমে ৮৫৮.৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়।

এরআগের অর্থবছরে ১ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছিল।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাবলিক ইস্যু রুলসের পরিবর্তন হওয়ায় বাজারে আইপিও আসার হার কমে এসেছে। ফলে আইপিও’তে নব্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে মুনাফার পরিমান বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। তাই মৌসুমি আইপিও ব্যবসায়িরাও আবার ফিরে আসছেন বাজারে। সাম্প্রতিক সময়ে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই লেনদেনের প্রথমদিনেই উল্লেখযোগ্য পরিমান রিটার্ন দিয়েছে।