image-10772‌দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : আগামীকাল ৮ মার্চ (বুধবার) আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, নারী-পুরুষের সমতা আনয়নে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার। দেশ গড়ার সকল কাজে নারীরা আজ পুরুষের সহযোদ্ধা।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৭’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি, বিচার, প্রশাসন, কূটনীতি, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা এখন যথেষ্ট দৃশ্যমান। নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াস বাংলাদেশ ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ এর গন্তব্যে সফলভাবে পৌঁছতে পারবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ বিশ্বের সমগ্র নারী জাতির জন্য একটি অর্থবহ ও গৌরবের দিন। বর্তমান বিশ্বে নারীর অধিকার ও মর্যাদা লাভের ক্ষেত্রে দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে বিশ্বের সকল উন্নয়নের সমঅংশীদার হিসেবে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের নারীসমাজ একইভাবে বেগম রোকেয়ার দেখানো পথ ধরে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধসহ দেশ গঠনে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।

আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। জাতীয় উন্নয়নের সর্বক্ষেত্রে সমঅংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক চিত্র পরিবর্তন করা সম্ভব। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে। আমি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সমন্বিত প্রয়াসে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

পরিশেষে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৭’ এর সফলতা কামনা করেন তিনি।