1460পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত জাহিন স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যবসা আরো সম্প্রসারিত করার চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে ব্যবসা সম্প্রসারণ বিষয়ে এখেনো কোনো সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হয়নি। এমনটা বলেছেন কোম্পানি সচিব মো: মহিন উদ্দিন। ২০১৫ সালে পুঁজিবাজার থেকে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংয়ের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা কোন কোন খাতে ব্যয় করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইপিও’র মাধ্যমে আমরা ১২ কোটি টাকা উত্তোলন করেছি। এই টাকার সাথে আরও ১৫ কোটি টাকা সংযুক্ত করে মোট ২৭ কোটি টাকার মেশিনারিজ আমদানী করা হয়েছে। জার্মানী, সুইজারল্যান্ড ও চায়না থেকে আমদানী করা এসব মেশিনারিজ এখন উৎপাদনে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ কার্যালয়ে একান্ত সাক্ষাতকারে দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ তারেকুজ্জামানকে এসব কথা বলেন তিনি।

দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণঃ বিদেশ থেকে আমদানী করা মেশিনারিজগুলো কি উৎপাদনে গেছে?

মো. মহিন উদ্দিন: ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে নতুন কিছু মেশিনারিজ আগে থেকে উৎপাদনে থাকা পুরাতন মেশিনারিজের সাথে উৎপাদনে গিয়েছে। আশা করা যায়, বাকি মেশিনারিজগুলো আগামী আগস্টে উৎপাদনে যাবে। মূলত গ্যাস স্বল্পতার কারণে সব মেশিনারিজ উৎপাদনে যেতে পাচ্ছে না।

দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণঃ নতুন মেশিনারিজ সংযোজন হওয়ার পড়ে উৎপাদন বেড়েছে কি?

মো. মহিন উদ্দিনঃ নতুন মেশিনারিজ উৎপাদনে আসার পূর্বে উৎপাদন ছিল ২৫ লাখ ৩৪ হাজার কেজি। আর নতুন মেশিনারিজ উৎপাদনে আসার পর তা বেড়ে হয়েছে ২৯ লাখ ৭৩ হাজার ৬২০ কেজি। নতুন সবগুলো মেশিনারিজ সংযোজন হলেও উৎপাদন আরও ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। কাজের পরিসরও বেড়ে যাবে।

দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণঃ স্বাভাবিকভাবেই নতুন মেশিনারিজ সংযোজন হলে বাৎসরিক আয় বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে কোম্পানির বাৎসরিক আয় কোন অবস্থায় রয়েছে?

মো. মহিন উদ্দিনঃ যেকোন কোম্পানিতে নতুন মেশিনারিজ সংযোজন হলে উৎপাদন বেড়ে যায়। আমাদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আমাদেরও উৎপাদন আগের তুলনায় বেড়েছে। এর পাশাপাশি বাৎসরিক আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে নতুন মেশিনারিজ সংযোজনের পূর্বে কোম্পানির বাৎসরিক আয় ছিল ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে বাৎসরিক আয় হয়েছে ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে বাৎসরিক আয় বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা ব্যাংকে ছিল। সেখান থেকে ইন্টারেস্ট এসেছে। যা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ সালের বাৎসরিক আয়ের সাথে সংযোজন হয়েছে। আর নতুন মেশিনারিজ সংযোজন হওয়ার পর ৩০ জুন ২০১৬ সালে কোম্পানির বাৎসরিক আয় হয়েছে ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণঃ পরিচালনা পর্ষদে মোট কতজন সদস্য রয়েছেন? তারা কোম্পানির ব্যবসা নিয়ে কি ভাবছেন?

মো. মহিন উদ্দিনঃ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মোট ৫ জন সদস্য রয়েছেন। তারা প্রতিনিয়তই কোম্পানির দেখভাল করছেন। ব্যবসা সম্প্রসারণসহ শেয়ারহোল্ডারদের সুযোগ-সুবিধার কথা তারা সব সময় চিন্তাভাবনা করেন। কারণ ব্যবসা সম্প্রসারণ হলে কাজের পরিধি বাড়বে। মুনাফা বাড়বে। আর মুনাফা বাড়লে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মানজনক ডিভিডেন্ড দিতে পারবে কোম্পানি।

দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণঃ কারখানার কর্মপরিবেশ সর্ম্পকে আপনার
অভিমত কি?

মো. মহিন উদ্দিনঃ জাহিন স্পিনিং লিমিটেডে বর্তমানে ৫শ’ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী কারখানাতেই কাজ করেন। আমাদের কারখানা ৩৫৪.৫৯ ডেসিমেল জায়গার ওপরে। কারখানায় মনোরম পরিবেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারখানার স্থাপনের আইন-কানুনের বাইরে কোনো প্লান্ট নির্মান করা হয়নি।