photo-1489844800দেশ প্রতিক্ষণ, ডেস্ক : গল টেস্টে বিশাল ব্যবধানে হারের পর অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন, কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও খুব একটা লড়াই করতে পারবে না বাংলাদেশ। পি সারা ওভালে গত চারটি দিন একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখেছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। বিশেষ করে আজ চতুর্থ দিনের শেষ দুটি সেশনে পূর্ণ আধিপত্য দেখিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা।

দিনশেষে দুই উইকেট না পাওয়ার কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও ম্যাচের চালকের আসনে যে বাংলাদেশ আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চতুর্থ দিন শেষে শ্রীলঙ্কা ১৩৯ রানে লিড নিয়েছে। স্বাগতিকরা পঞ্চম দিনে এই লিড কতদূর বাড়িয়ে নিতে পারবেন, সেটা সময়েই বলে দেবে।

তবে শততম টেস্টে স্বপ্ন হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। এই টেস্টে বাংলাদেশ জিততে পারবে কি না সেটা হয়তো বলা মুশকিল, কিন্তু দারুণ একটি সুযোগ এসে দাঁড়িয়েছে মুশফিক-তামিমদের সামনে।

এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে দিনের শুরুতেই শ্রীলঙ্কার বাকি থাকা দুই উইকেট তুলে নিতে হবে। এরপর বাকি কাজটা হবে ব্যাটসম্যানদের। চতুর্থ ইনিংসে রান চেজ করে জেতা কঠিন হলেও অসাধ্য নয়। সেই সামর্থ্য বাংলাদেশের আছেও বটে। তা ছাড়া বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান রয়েছেন, যাঁরা পারেন দলের প্রয়োজন মুহূর্তে নিজেদের মেলে ধরতে। সবচেয়ে বড় কথা, সাকিব-তামিম-মুশফিকরা ফর্মের একেবারেই তুঙ্গে; যা বাংলাদেশের জন্য একটা প্লাসপয়েন্ট।

তবে দুর্ভাবনার বিষয় হচ্ছে, একেবারে বিধ্বস্ত উইকেটে শ্রীলঙ্কার স্পিন আক্রমণ সামলানো। এই উইকেটে ব্যাটহাতে দৃঢ়তা দেখানো খুব একটা সহজ হবে বলে মনে হয় না।

অবশ্য পি সারা ওভালের অতীত রেকর্ড বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করবে। এই মাঠে সর্বোচ্চ ৩৫২ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া এই লক্ষ্য শ্রীলঙ্কা তাড়া করে জিতেছে। আর ২০১০ সালে ভারতকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ দিনে লক্ষ্মণের অপরাজিত ১০৩ রানে ভারত দারুণ এক জয় পায়।

এই মাঠে এর আগে খেলা ১৯ টেস্টের ৯টিতেই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ড্র করেছে চারটি, বাকি ছয়টিতে হেরেছে। চলমান এই টেস্টের ফল কী হবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল পর্যন্ত।

তবে নিজেদের শততম টেস্টে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার বাংলাদেশ কি পারবে?