nbrlogo1_82796দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : জেনারেল স্টোর ও সুপার স্টোরের ভ্যাট হার সমান করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে অনুষ্ঠিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির পক্ষে সভাপতি নিয়াজ রহিম এ দাবি জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নিয়াজ রহিম বলেন, একই রকম ব্যবসা পরিচালনা করেও জেনারেল স্টোরগুলো প্যাকেজ ভ্যাট দিচ্ছে। সেখানে সুপারস্টোরগুলো ক্রেতাদের নিকট থেকে চার শতাংশ ভ্যাট আদায় করছে। ফলে শুরুতেই সুপার স্টোরগুলো অসম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে। এ অবস্থায় সুপার স্টোরগুলোকেও প্যাকেজ ভ্যাটের আওতায় আনা হোক।

তিনি বলেন, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলো তাদের বিপণন কৌশল হিসেবে বিক্রয় রশিদে ভ্যাট নেই বা শূন্য ভ্যাট উল্লেখ করে। অনেক ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ছোট সুপারমার্কেটের থেকে বেশি বিক্রি করে। অথচ সারা বছর সর্বোচ্চ ১৪ হাজার টাকা ভ্যাট পরিশোধ করে। কিন্তু কম বিক্রি করেও সুপারমার্কেটগুলোকে লাখ লাখ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করতে হয়।

তিনি জানান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের প্রায় এক লাখ কোটি টাকা ব্যবসা থেকে সরকারের ভ্যাট আদায় হয় ২৫ কোটি টাকা। আর সুপারমার্কেট খাতের এক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা থেকে সরকারের ভ্যাট আদায় হয় ১৮ কোটি টাকা। হুবহু একই প্রকৃতির ব্যবসায় দুই ধরনের ভ্যাট আদায় চরম বৈষম্যমূলক। অন্যদিকে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্যের ওপর ভ্যাট আদায় ভোক্তা আইনের পরিপন্থী, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সংস্থা থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বৈষম্যমূলক নীতি এবং ভ্যাট আইন প্রয়োগের বাস্তবতার কারণে সুপারমার্কেটের অস্তিস্ব হুমকির সম্মুখীন। পাশাপাশি এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনাও কমে আসছে। এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে গেছে। গত তিন বছরে বন্ধ হয়ে গেছে বেশকটি সুপারমার্কেট।

সমহার ভ্যাটের পাশাপাশি বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে সুপারমার্কেটের ভাড়ার ওপর আরোপ করা ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার এবং বছর বছর ভ্যাট, ট্যাক্সহার পরিবর্তন না করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে ভ্যাট ও ট্যাক্স হার নির্ধারণের দাবি জানানো হয়।