downloadবিশেষ প্রতিবেদক : ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ঋণ ফান্ডে আগ্রহ কমে যাওয়ায় ফান্ডটি এবার ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। জানা যায়, আবেদন না থাকায় গত ২০১৬ সালের এপ্রিলের পর থেকে ফান্ডের কোনো অর্থ ছাড় হয়নি। নয়শ কোটি টাকা আকারের এ ফান্ডের মাত্র ৬৪২.০৯ কোটি টাকা এ পর্যন্ত ছাড় হয়েছে।

সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ফান্ডেটির পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়। পর্যালোচনায় উঠে আসে সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে অনেকটাই আগ্রহহীন হয়ে এসেছে ফান্ডটি। অথচ দেশের পুঁজিবাজারে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ধ্বসের পর বিনিয়োগকারীদের দাবীর মুখেই এ ফান্ডটি যৌথভাবে বিএসইসি এবং রাষ্ট্রয়াত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) গঠন করে। ২০১০-১১ সালের এ ধ্বসের পর বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলো এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী উভয়ই এ ধরনের একটি ফান্ডের সমর্থনে আবেদন জানায়। কিন্তু উচ্চ সুদহার এবং আনুষ্ঠানিকতার কারণে হতশ্রী হয়ে পড়ে ফান্ডে আবেদনের পরিমান। অভিযোগ আছে, মার্চেন্ট ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ হাউজগুলো ঋণের অর্থ ফেরতের নিশ্চয়তার অভাবে বিনিয়োগকারীদের ঋণ নিতে নিরুৎসাহিত করছে। এবার তাই নতুন রূপে ফান্ডগঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নগদ সহায়তার উদ্যোগ নেবেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে ২০১৩ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তা দিতে ঋণ সুবিধা দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। সংশ্লিষ্টদের দাবী প্রেক্ষিতে গেল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ফান্ডের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। এর পাশাপাশি ফান্ডের সুদহার ৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.৫০ শতাংশতেও আনা হয়। তবে এসব সুবিধা দিয়েও টানা যায়নি আবেদনের যোগ্য বিনিয়োগকারীদের। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫৮ কোটি এখনো অব্যবহৃত রয়ে গেছে। বিতরন হয়েছে কেবল ৬৪২.০৯ কোটি টাকা। সর্বশেষ ঋণ উত্তোলন হয়েছে প্রায় এক বছর আগে আইসিবি ২১ এপ্রিল, ২০১৬ তে। এবার তাই ক্ষতিগ্রস্তরা সহজে আবেদন করে যেন কার্যকরীভাবে সহায়তা পান সেভাবে ফান্ড গঠন করা হবে। নতুনভাবে তৈরী করা এ ফান্ডের মেয়াদ প্রাথমিকভাবে দুই বছরের হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। পর্যালোচনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, সহজ শর্তে কম সময়ে ঋণ পাওয়ার সুযোগ থাকবে এ নতুন স্কিমে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্প থেকে তহবিলে আগ্রহ বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই বৈঠক বসবে। যখন সরকার তহবিল চালু করেছিল ব্যাংকগুলোতে তখন সুদের হার তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। এখন তা কমে আসায় ফান্ডে আগ্রহ কমার কারণ হতে পারে’। তিনি আরো বলেন, ‘পরবর্তি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে’।