DSE-CSE-400x225ওয়াহিদুল হক: দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় বাড়ানোর আবেদন ফের করেছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। এর আগে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো একবার আবেদন করলেও সে আবেদনে সাড়া দেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে বাজারের আকার বেড়ে প্রায় ৩ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায় এবং বাজার লেনদেন ও সূচকে চাঙ্গাভাব থাকায় আবেদনে সাড়া পাওয়ার আশা করছে এক্সচেঞ্জগুলো।

জানা যায়, বর্তমান লেনদেনের সময়ের আগে ও পরে ১৫ মিনিট করে আধাঘন্টা বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এ লেনদেনকে ‘প্রি-মার্কেট’ এবং ‘আফটার আওয়ার ট্রেড’ নামে চালু করা প্রস্তাবনা দিয়েছে ডিএসই। এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) প্রস্তাব দিয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জটি। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১৯৯৯ সাল থেকেই আফটার আওয়ার ট্রেড চালু আছে। শুরুতে আধা ঘণ্টা অতিরিক্ত লেনদেন চালু রাখলেও এখন তা ৫ মিনিটে নামিয়ে এনেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ক্ষেত্র বিশেষে ১৫-২০ মিনিটও অতিরিক্ত সময়ে লেনদেন চালু রাখে সিএসই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্মতি দিলে লেনদেন শুরুর আগেই (প্রি-মার্কেট সেশন) বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় আদেশ দিতে পারবেন। তবে এ সময়ে লেনদেন সম্পন্ন হবে না। লেনদেন সম্পন্ন হবে স্বাভাবিক লেনদেন সময় চালুর সঙ্গে সঙ্গে। অন্যদিকে স্বাভাবিক লেনদেন সময় শেষে (আফটার আওয়ার ট্রেড) বিনিয়োগকারীরা আগের ক্রয় বা বিক্রয় আদেশগুলো সংশোধন করে লেনদেন সম্পন্ন করার সুযোগ পাবেন। এর আগে ১৯৯৯ সাল থেকে উন্নত বিশে^র কয়েকটি পুঁজিবাজার অতিরিক্ত সময়ের লেনদেন ব্যবস্থা চালু করে। বিশে^র বড় শেয়ারবাজার যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাকের স্বাভাবিক লেনদেন সময় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা। প্রি-মার্কেট সেশন চালু হয় ভোর সোয়া ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। অন্যদিকে পোস্ট আওয়ার ট্রেড চালু হয় বিকেল সোয়া ৪টায়। চলে স্থানীয় সময় রাত ৮টা পর্যন্ত। এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান জানান, ‘পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বা লেনদেন বাড়াতে লেনদেন সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্ধারিত চার ঘণ্টার লেনদেন সময়ে অনেক বিনিয়োগকারী লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন না। এটা তাদের ওই দিন শেয়ার লেনদেনের সুযোগ করে দেবে’। বিএসইসির সূত্র মতে, দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু হয়। শেষ হয় বেলা আড়াইটায়। বিরতিহীনভাবে দিনে মোট ৪ ঘণ্টা লেনদেন হয়। ফলে বিনিয়োগকারী, ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষ এবং স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ থেকে লেনদেনের সময় বাড়ানোর দাবি ওঠে। বিএসইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কমিশনার বলেন, ‘দুই স্টক এক্সচেঞ্জ লেনদেনের সময় বাড়ানো জন্য আবেদন করেছে। আবেদনটি যৌক্তিক, আমরা কমিশন বৈঠকে বসে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’। ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান বলেন, ‘লেনদেনের সময় ১ ঘণ্টা না বাড়ালেও লেনদেনের আগে ও পরে ১৫ মিনিট করে অন্তত আধা ঘণ্টা বাড়ানো দরকার। তাতে আনুষ্ঠানিক লেনদেন শুরুর আগে কেউ যদি নির্ধারিত দামে শেয়ার বিক্রি করতে চান তাহলে যেন বিক্রি করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বা লেনদেন বাড়াতে লেনদেন সময় বাড়ানোর প্রস্তাবব করা হয়েছে। নির্ধারিত চার ঘণ্টার লেনদেন সময়ে অনেক বিনিয়োগকারী লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন না। এটা তাদের ওই দিন শেয়ার লেনদেনের সুযোগ করে দেবে’।