Ms Securitisচৌধুরী নুরুল আজম। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেক হোল্ডার এম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত আছেন পুঁজিবাজারের সঙ্গে। এই দীর্ঘ সময়ে দেখেছেন পুঁজিবাজারের উত্থান-পতন। দেশ-বিদেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কে রয়েছে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা। সাম্প্রতিক পুঁজিবাজার ও তার অভিজ্ঞতা নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে আলাপ হয় দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ’র সঙ্গে। এ সময় ওঠে আসে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি সমস্যা ও সম্ভাবনার নানা দিক। তারই চুম্বক অংশ সম্মানিত পাঠক ও বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণ’র নিজস্ব প্রতিবেদক মোবারক হোসেন।

দেশ প্রতিক্ষণ: বর্তমান বাজার পরিস্থিতিকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করছেন?

চৌধুরী নুরুল আজম: পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা শোচনীয়। বাজার অনেকটাই গতিহীন। কিন্তু দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এতে প্রাণ সঞ্চার ও বাজারের গভীরতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। কারণ শিল্পায়নের অর্থ যোগানে পুঁজিবাজারই সবচেয়ে সাশ্রয়ী উৎস। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত এ বাজারের পাশে দাঁড়ানো।

তিনি বলেন, নানা কারণে পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট চলছে। বাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে। সূচকও কমছে। গত দেড় থেকে ২ মাস আগে যেখানে লেনদেন হতো প্রায় ২ হাজার কোটির কাছাকাছি। তা বর্তমানে উঠে এসেছেন ৬০০’র ঘরে। এতেই বুঝা যায় পুঁজিবাজার গতিবিধি স্বাভাবিক নয়। তিনি আরও বলেন, বিষয়টিকে শুধু সেকেন্ডারি মার্কেটের সমস্যা মনে করলে খুব বেশি যৌক্তিক হবে না। সেকেন্ডারি মার্কেট দীর্ঘদিন খারাপ থাকলে, প্রাইমারি মার্কেট তথা আইপিও’র ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কিন্তু শিল্প-বাণিজ্যে ভালে প্রবৃদ্ধি চাইলে প্রাইমারি মার্কেটকে প্রাণবন্ত রাখতেই হবে। আর একই কারণে মনোযোগ দিতে হবে সেকেন্ডারি মার্কেটের দিকেও।

দেশ প্রতিক্ষণ: অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার যদি সাশ্রয়ী উৎস-ই হয়ে থাকে তবে শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে তালিকাভুক্তিতে কেন অনিহা দেখাচ্ছে?

নুরুল আজম: এটা সত্য যে, দেশের অনেক বড় প্রতিষ্ঠানই পুঁজিবাজারের বাইরে রয়ে গেছে। এসব কোম্পানিকে বাইরে রেখে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই কোম্পানিগুলোকে বাজারে নিয়ে আসতে হবে। বাজারে ভাল ও বড় কোম্পানির সংখ্যা যত বাড়বে ততই শেয়ার নিয়ে কারসাজির মাত্রা কমে আসবে। শেয়ার দরের অস্বাভাবিক উঠা-নামার প্রবণতাও কমবে। অন্যদিকে এ বাজার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে প্রয়োজনে নানা সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় বড় বড় কোম্পানি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হবে। তবে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং পুঁজিবাজারের বাইরে যেসব কোম্পানি রয়েছে তাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মতবিরোধ ও কর বিষয়ে পার্থক্য রয়েছে। বাজেটে এ বৈষম্য দূর করা উচিৎ। দেশের অনেক বড় বড় কোম্পানি বিদেশে পণ্য রপ্তানি করছে। পণ্য রপ্তানিকারক বড় কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে যাচ্ছে না। এসব কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে আগামী বাজেটে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো সবক্ষেত্রে অনেক স্বচ্ছ থাকে। অন্য কোম্পানিগুলোকেও বিনিয়োগের জায়গা ও পরিবেশ দিতে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে হবে। এতে অন্য কোম্পানিগুলোও পুঁজিবাজারে আসতে সাহস ও উৎসাহ পাবে।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে সুবিধা দিয়ে ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে হবে। বিদেশি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

দেশ প্রতিক্ষণ: পুঁজিবাজার ইস্যুতে সরকার ও নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহের কমতি নেই। তারপরও বাজার কেন স্থিতিশীল হতে পারছে না?

নুরুল আজম: এটা মানতেই হবে যে, পুঁজিবাজার ইস্যুতে সরকারসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আন্তরিকতা কোন ঘাটতি নেই। এরপরও আইনী ফাক-ফোকর ও নানা পন্থায় কারসাজি চক্র বাজারকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই চক্রটির ইশারায় দাম বাড়ে, আবার তাদের ইশারায় দাম কমে। পক্ষান্তরে তাদের পকেট বোঝাই হলেও নি:স্ব হচ্ছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।

তিনি বলেন, সরকারের উর্ধ্বতন মহলকে পুঁজিবাজার নিয়ে ভুল বুঝানো হচ্ছে। কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়িয়ে রাখে সুচক প্লাস দেখানো হলেও এটা শুধুমাত্র আইওয়াশ।

দেশ প্রতিক্ষণ: তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার সম্পর্কে কিছু বলুন।

নুরুল আজম: কোম্পানির মালিক শেয়ারহোল্ডাররা। অথচ আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে শেয়ারহোল্ডাদেরকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। কোম্পানির মালিকদের কাছে শেয়ারহোল্ডাররা জিম্মি। কোম্পানির এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষ থেকে পরিচালক হতে চাইলেও তাদেরকে নানা হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, শেয়ারহোল্ডার আর পরিচালক এক নয়। পরিচালকদের কাজ কোম্পানি পরিচালনা করা। আর এক্ষেত্রে অবশ্যই শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন লাগবে। এতেই প্রতীয়মান হয় যে, পরিচালকের চেয়ে একজন শেয়ারহোল্ডারই গুরুত্বপূর্ন। অথচ পরিচালকদের কাছেই শেয়ারহোল্ডারদের জিম্মি থাকতে হচ্ছে। আর পরিচালকদের নানা ছল-চাতুরির ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী।

দেশ প্রতিক্ষণ: বর্তমানে কিছু কোম্পানি রিজার্ভ থাকা স্বত্বে ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না। বিষয়টিকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

নুরুল আজম: যে সকল কোম্পানি রিজার্ভ থাকা স্বত্বে ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না তাদের জন্য আইন করা উচিত। কারণ, শেয়ারহোল্ডাররাই কোম্পানির মালিক। তবে তারা কেন বঞ্চিত হবে? এক্ষেত্রে ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত।

দেশ প্রতিক্ষণ: বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাতের ভূমিকা কতটুকু?

নুরুল আজম: পুঁজিবাজারের ভাল-মন্দের সঙ্গে ব্যাংকিং খাত ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। পুঁজিবাজার ও ব্যাংকিং খাতের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি বানিজ্যিক ব্যাংক কোনো না কোনোভাবে পুঁজিবাজারে যুক্ত। অনেক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বা সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংকিং করছে। আবার কয়েকটি ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য (বর্তমানে ট্রেকহোল্ডার) হিসেবে শেয়ার কেনা-বেচা করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের মুনাফা ও লোকসান মূল ব্যাংকের ব্যালেন্সশীটে অন্তর্ভূক্ত হয়।

ব্যাংকের ঝুঁকি কমানোর জন্যই পুঁজিবাজারের গতিশীলতা দরকার। ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের অর্থে ব্যবসা করে। তাই দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন ব্যাংকের জন্য খুব বেশি উপযোগী নয়। তাছাড়া বড় ধরনের প্রকল্পে এককভাবে অর্থায়ন করার সামর্থ্য ও সুযোগও কম। তাই পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করার প্রবণতা বাড়লে ব্যাংকের উপর এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের চাপ কমবে। এটি ব্যাংকের ঝুঁকিও কমিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারের অস্বাভাবিক উত্থান ও বড় পতনের পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু নির্দেশনা ভূমিকা রেখেছে, যেগুলো সময়োপযোগী ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত এসব ইস্যুতে আরও যৌক্তিক ও নমনীয় আচরণ করা। দাতা সংস্থার পরামর্শ অন্ধভাবে অনুসরণ না করে দেশীয় বাস্তবতার আলোকে তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বিশেষ পরিস্থিতিতে কোনো কোনো বিধির কার্যকারিতা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা যেতেই পারে।

দেশ প্রতিক্ষণ: বর্তমান সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আইপিও অনুমোদনে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করছে। পরিণতিতে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তির কার্যক্রমে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাজারে কি এর কোন প্রভাব পড়বে?

নুরুল আজম: ভালো কোম্পানিকে আইপিওতে নিয়ে আসতে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অতিরক্ষণশীল অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। কোম্পানির সম্পদ, মুনাফা, সম্ভাবনা ইত্যাদির নিরিখে শেয়ারের যৌক্তিক প্রিমিয়াম দিতে হবে। বিনিয়োগকারী ও ইস্যুয়ার (কোম্পানির উদ্যোক্তা)-উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে।

তবে এটাও সত্য যে, হিসাব কারসাজি করে বাড়তি মুনাফা দেখিয়ে অনেক দূর্বল কোম্পানিও আইপিওতে প্রিমিয়াম নিয়ে যায়। এমন অভিযোগও কম নেই। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) রক্ষণশীল না হলে বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হতে পারেন।

যেহেতু মূল সমস্যাই আর্থিক হিসাব নিয়ে। এক্ষেত্রে প্রিমিয়াম ছাড়া আইপিও’র অনুমোদন পেলেই যে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ সংরক্ষিত হবে তার নিশ্চয়তা নেই। বরং এখানেই শঙ্কা ও সন্দেহ বেশি। কারণ দূর্বল ও লোকসানী কোম্পানির ক্ষেত্রে যে কোনো মূল্যে বাজারে শেয়ার ছাড়তে পারলেই লাভ। তাই হিসাব কারসাজি কতটা কমিয়ে আনা যায় সে চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বুক-বিল্ডিং পদ্ধতির মত ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতেও নীরিক্ষক নিয়োগে শর্ত আরোপ করা যেতে পারে। অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন দিয়েই কেবল আইপিও’র আবেদন করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা আরোপ করা যেতে পারে।

দেশ প্রতিক্ষণ: বিগত সময়ে একসঙ্গে একাধিক কোম্পানি আইপিও’র মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন পেয়েছে। তখন বিনিয়োগকারীরা বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ করেছিল। বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

নুরুল আজম: এক সঙ্গে একাধিক কোম্পানির আইপিওতে এলে সেকেন্ডারি মার্কেটে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কারণ নেই। যারা প্রাইমারি মার্কেটে বিনিয়োগ বা আইপিও’র শেয়ারের জন্য আবেদন করেন, তাদের বড় অংশই সেকেন্ডারি মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত নন। তাই এর তেমন প্রভাব পড়ার কথা না। যতটুকু পড়ে তা মনস্তাত্ত্বিক কারণে পড়ে।

তিনি বলেন, আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বড় ব্যাক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিও’তে কোটা রাখা প্রয়োজন। কারণ, এ ধরনের কোটা থাকলে বড় আকারের আইপিও এলেও আন্ডার সাবসক্রাইবড (শেয়ার অবিক্রিত থাকা) হওয়ার আশংকা থাকবে না। অন্যদিকে এ ধরনের বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণের ক্ষমতা বেশি। তাই একসঙ্গে একাধিক আইপিও এলেও বাজারে শেয়ার সরবরাহের চাপ পড়বে না, বরং তা মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।

দেশ প্রতিক্ষণ: বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

নুরুল আজম: বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে না পারলে এই পরিস্থিতির উত্তোরণ ঘটবে না। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যদি স্বল্পমেয়াদি মুনাফার চিন্তা থেকে নিজেদের সরিয়ে না আনে কিংবা দায়িত্বশীল আচরণ না করে তবে নীতিনির্ধারণী মহলের কোনো উদ্যোগই কাজে আসবে না।

তিনি জানান, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। যে কোনো উদ্যোগ বা পদক্ষেপের ফল পাওয়ার জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করা উচিত। কিন্তু সে সময়টা যদি না দেয়া হয় তবে কাক্সিক্ষত ফল লাভ করা কষ্টকর হয়ে যায়।

দেশ প্রতিক্ষণ: বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আপনার অভিমত ও মূল্যবান পরামর্শ প্রদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নুরুল আজম: আপনাকেও ধন্যবাদ।