4bk34881820a4a4rsa_800C450দেশ প্রতিক্ষণ, ডেস্ক : ভারতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ প্রধান মাওলানা সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী গরুকে ‘জাতীয় পশু’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। কথিত গো-রক্ষকদের সহিংসতা থেকে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তিনি ওই দাবি জানান।

মাওলানা সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, তিনি গো-রক্ষকের ছদ্মবেশে অপরাধ করা লোকদের সাজা দেয়ার কথা বলেছিলেন।

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ প্রধান বলেন, বিভিন্নস্থানে গো-রক্ষকরা মানুষের উপরে হামলা চালাচ্ছে। কয়েকটি স্থানে মানুষজনকে হত্যা করাও হয়েছে। গো-রক্ষার নামে এসব ঘটনা ঘটছে। মনে হচ্ছে এ সকল লোকের আইন হাতে তুলে নেয়ার ছাড় দেয়া হয়েছে এবং সরকারও এ নিয়ে কিছু করছে না।’

মাওলানা মাদানী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সরকারকে গরুকে ‘জাতীয় পশু’ ঘোষণা করা উচিত এবং আমরা তাকে সমর্থন জানাবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের হিন্দু ভাইদের ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান করি কিন্তু কাউকে দেশের আইন হাতে তুলে নেয়ার অনুমতি দেয়া উচিত নয়।’

তিনি বলেন, গরুকে নিয়ে একটি জাতীয় আইন তৈরি হলে বিভ্রান্তি থাকবে না। এরফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে হওয়া সহিংসতা বন্ধ হবে।

ভারতে ইতোপূর্বে হরিয়ানার বিজেপি নেতা ও মন্ত্রী অনিল ভিজ গরুকে ‘জাতীয় পশু’ ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন। উগ্রহিন্দুত্ববাদী শিবসেনা নেতা ও এমপি চন্দ্রান্ত খাইরে একধাপ উপরে উঠে গরুকে ‘রাষ্ট্র মাতা’ ঘোষণা করার দাবি করেছেন।

‘তিন তালাক’ ইস্যুতে মাওলানা আরশাদ মাদানী বলেন, এটা ধর্মীয় বিষয় এবং ধর্মে তার সমাধানও রয়েছে। তিনি অবশ্য বলেন, যদি সুপ্রিম কোর্ট কোনো গ্রহণযোগ্য রায় দেয় তাহলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। ‘তিন তালাক’ ইস্যুটি অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে বলেও মাওলানা মাদানী বলেন।

তিনি বলেন, ‘মুসলিমরা এখানে বহু শতাব্দী ধরে বাস করে আসছে। আমার মনে হয় ‘তিন তালাক’ ইস্যু নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সকলকে বোঝা উচিত এটা রাস্তার বিষয় নয়, এটা ধর্মীয় বিষয় এবং ধর্মীয় লোকেরাই এ নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারে।’

মাওলানা মাহমুদ মাদানীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ম এবং ভাষার নামে পক্ষপাতপূর্ণ আচরণের অভিযোগ করেন।

তিনি অসমের নাগরিকত্ব ইস্যুতে বলেন, একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হিন্দু নাগরিকদের বিশেষ অধিকার দিচ্ছে। অন্যদিকে, অন্য বিদেশি ও বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করে ভারতীয় নাগরিকদের নির্বাসিত করার চেষ্টা হচ্ছে।