photo-1495540189দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় আল রাজি গ্রুপের প্রতিনিধি ইউসুফ আবদুল্লাহ আল-রাজিকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেনানিবাসের কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে ব্যাংকটির ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা যায়, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ এখন শুধু স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে থাকবেন।

এজিএম শেষে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরাস্তু খান সাংবাদিকদের জানান, এখন থেকে ব্যাংকটির একমাত্র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আল রাজি গ্রুপের প্রতিনিধি ইউসুফ আবদুল্লাহ আল-রাজি দায়িত্ব পালন করবেন।

এজিএমে আহসানুল আলম উপস্থিত ছিলেন না। সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদেরও অল্প কিছু সংখ্যক উপস্থিত থাকার সুযোগ পেয়েছেন।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছেন।

গত শনিবার অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘গত ১৩ মে পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে পরিচালকদের পদত্যাগ করতে চাপ দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। তাঁরা এই হীন বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রের নেপথ্য শক্তিকে বের করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজরে আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘কোনো পরিচালককে হুমকির মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে বহু সম্মানিত পরিচালক একযোগে পদত্যাগ করবেন।’

এই নিয়ে সম্প্রতি আহসানুল ফেসবুকে লেখেন, ‘অশুভ শক্তির ইশারায় আমার শত চেষ্টার পরেও ইসলামী ব্যাংকে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি পুনর্বাসিত হয়েছে এবং জাতির পিতার খুনিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ফিরে আসছেন নেতৃত্বে। আগামী বছর এই ব্যাংকটিকে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে ব্যবহার করার নীলনকশা সম্পাদন হচ্ছে।’

তবে চেয়ারম্যান আরাস্তু খান গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আহসানুল হকের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘ভাইস চেয়ারম্যান যে কথা ফেসবুকে লিখেছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই।’

আরাস্তু খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্বাধীন পরিচালক হিসেবে যদি উনি (ভাইস চেয়ারম্যান) নিজে পদত্যাগ করেন সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। এটা আমার ব্যাপার না। তাঁর থাকা বা পদত্যাগ নিয়ে ব্যাংকের ভেতর থেকে কোনো চাপ নেই।’

গত জানুয়ারিতে সাবেক অতিরিক্ত সচিব আরাস্তু খানকে চেয়ারম্যান, অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলমকে ভাইস চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়।