oilআসিফুজ্জামান পৃথিল, দেশ প্রতিক্ষণ,ঢাকা: জ্বালানী খাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৮টি কোম্পানির মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিকে ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। অর্থ্যাৎ ৯টি কোম্পানির আয় গতবছরের একই সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বাকি ৮টির কোম্পানির আয় ২০১৬ সালের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। এছাড়া ডেসকো লোকসানে রয়েছে।

যে নয়টি কোম্পানির আয় বেড়েছে সেগুলো হলো: বারাকা পাওয়ার, ডরিন পাওয়ার, যমুনা ওয়েল, এমজেএল বাংলাদেশ, পাওয়ার গ্রীড, বিডি ওয়েল্ডিং, শাহজিবাজার পাওয়ার, তিতাস গ্যাস, ইউনাইটেড পাওয়ার। এরমধ্যে সবচাইতে বেশী আয় বেড়েছে ডরিন পাওয়ারের। ২০১৬ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছিলো ০.০৬ টাকা। ২০১৭ সালের একই সময়ে কোম্পানীটির আয় ১.৯৭ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.০৬ টাকায়।

আর যে নয়টি কোম্পানির আয় কমেছে সেগুলো হলো: সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, জিবিবি পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার, লিন্ডে বাংলাদেশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা ওয়েল, সামিট পাওয়ার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী আয় কমেছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের। গত বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১৬.০৯ টাকা আয় করলেও এই বছর কোম্পানিটি মাত্র .৭৮ টাকা আয় করেছে। ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) লোকসানের পরিমাণ বেড়েছে।

বারাকা পাওয়ার: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ০.৭৭ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ০.৭৪ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ০.০৩ টাকা।

বিডি ওয়েল্ডিং: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ০.৩৮ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ০.৭২ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ০.৩৪ টাকা।

সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১.২৩ টাকা। গত বছর একই সময় যার লোকসানের পরিমাণ ছিল ২.৩৪ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৫.৬৭ টাকা।

ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো): জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ০.৩৯ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ০.২৪ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ০.১৫ টাকা।

ডরিন পাওয়ার: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২.০৩ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ০.০৬ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ১.৯৭ টাকা।

ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ০.৭৮ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১৬.০৯ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১৫.৩১ টাকা।

জিবিবি পাওয়ার: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ০.৩৫ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ০.৯১ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ০.৫৬ টাকা।

যমুনা অয়েল: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩.১৭ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৩.০৪ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ০.১৩ টাকা।

খুলনা পাওয়ার: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১.৪০ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১.৬০ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ০.২০ টাকা।

লিন্ডে বাংলাদেশ: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১৬.১৬ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১৬.৭৪ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ০.৫৮ টাকা।

এমজেএল বাংলাদেশ: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১.৯৬ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১.৩৭ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ০.৫৯ টাকা।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৪.১৯ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৪.৮৯ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ০.৭০ টাকা।

পদ্মা ওয়েল: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩.৩৫ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৩.৮০ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ০.৪৫ টাকা।

পাওয়ার গ্রীড: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ০.৬৭ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ০.৬৫ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ০.০২ টাকা।

শাহজিবাজার পাওয়ার: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১.৮৯ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১.২৩ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ০.৬৬ টাকা।

সামিট পাওয়ার: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) .৭৯ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১.০৩ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ০.২৪ টাকা।

তিতাস গ্যাস: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১.৪৫ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ০.৯৬ টাকা।

ইউনাইটেড পাওয়ার: জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩.০৪ টাকা। গত বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ২.৫৩ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ০.৫১ টাকা।