dse-cseদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহেও বাজার খুব একটা ইতিবাচক ছিল না। যদিও সপ্তাহের তিন কার্যদিবস সূচক বেড়েছে। তবে লেনদেনে তার প্রভাব ছিল না। অনেকেই সূচক বাড়তে দেখে হাতে থাকা শেয়ার ধরে রেখেছে। কারণ সূচক বাড়লেও অনেকের হাতে থাকা শেয়ারে মুনাফা না হওয়ায় তারা লোকসানে শেয়ার বিক্রি না করে ধরে রেখেছে। এ বিষয়টি প্রায় দেখা যায় সূচক কমলে ভয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার কারণে লেনদেন বেড়ে যায়।

আবার সূচক বাড়লেও একই চিত্র দেখা যায়, পর্যাপ্ত মুনাফা না হওয়ায় শেয়ারগুলো ধরে রাখার কারণে লেনদেনের পরিমাণ কমে যায়। তবে বর্তমানে বাজারে এক প্রকার অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত কিছুদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে অস্বাভাবিক হারে দরপতন হচ্ছে। এর থেকে উত্তোরণের জন্য প্রয়োজন বাজার মনিটরিং বাড়ানো। কিন্ত সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বাজার উন্নয়নে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। যে কারণে বাজার প্রায় তলানীতে চলে গেছে। এর থেকে বেড়িয়ে আসতে প্রয়োজন ধারাবাহিক উত্থান।

সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরণের মূল্য সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন। আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমার পরিমাণ ছিলো ৯.১১ শতাংশ। গত সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৬৯৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ছিলো ২ হাজার ৯৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার। সেই হিসেবে গত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ২৭০ কোটি ৭১ লাখ টাকা বা ৯.১১ শতাংশ।

সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৩.৫৭ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৩.৭৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১.৪৪ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১.২১ শতাংশ।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে.২৬ শতাংশ বা ১৪.১৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে.৯৮ শতাংশ বা ১৯.৫৭ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ০.৪৩ শতাংশ বা ৫.৪০ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৪৪৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার। তবে সার্বিক সূচক বেড়েছে.৩৪ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৩৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।