14967584731

নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংক আমানতের উপর প্রস্তাবিত বাড়তি আবগারি শুল্ক নিয়ে কথা বলার জন্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান দায়িত্বশীল কেউ নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আগামী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বছরের যেকোনও সময় ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার বেশি স্থিতি থাকলে ওই আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এরপর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে উঠেছে বিষয়টি।

ব্যক্তি থেকে সংগঠন, সংস্থা, এমনকি জাতীয় সংসদেও তুমুল সমালোচনার ঝড় বইছে। দাবি উঠেছে বর্ধিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের। সংসদ সদস্যরা অর্থমন্ত্রীকে জেদ না ধরে জনগণের কথা চিন্তা করে শুল্কহার প্রত্যাহারের আহবান জানান।

গত ৩ জুন রাজধানীর এক আলোচনা সভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ১ লাখ টাকায় এ হার ৫০০ টাকা ছিল। আমাদের ধারণা, দেশে ১ লাখ টাকার ব্যাংক হিসেবের সংখ্যা ৮০ শতাংশ। এবার একটু বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। এ শুল্ক বিষয়ে বিবেচনা করতে জাতীয় সংসদে আলোচনা করা হবে।

এরপর গত ৮ জুন সিলেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, আবগারি শুল্ক কমানোর সুযোগ নেই। তবুও এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা শেষে তা পাশ হবে।
গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আবারও বর্ধিত শুল্কহার কমানোর ইঙ্গিত দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ সম্পর্কে এ মুহূর্তে সরকারের উচ্চমহলে চিন্তাভাবনা চলছে। আমার বিশ্বাস, আমরা একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে পারব।

অর্থ প্রতিমন্ত্রীর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, হি ইজ নট রেসপনসিবল পারসন। সো এটা কি হবে?

অবশ্য এরপরপরই বর্ধিত শুল্কহার কমানোর ইঙ্গিত দেন অর্থমন্ত্রী নিজেই।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আবগারি শুল্কহার বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকেই আপনারা চিৎকার শুরু করেছেন। ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক নতুন কোনো বিষয় নয়।এতোদিন আপনারা এই শুল্ক দিয়ে এসেছেন। আমরা কেবল এর হার কিছুটা বাড়িয়েছি। বিষয়টি নিয়ে যেহেতু এত সমালোচনা তাই বিষয়টি সংসদে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হয়তো কমানো হবে।