share120170527133939

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রায় ৬৭ শতাংশ বা ১২ কোম্পানির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এ কোম্পানিগুলোর আর্থিক বছরও ইতোমধ্যে (৩০ জুন) শেষ হয়েছে। ফলে ডিভিডেন্ড ঘোষণার সময়ও ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে। এদিকে এ খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির মুনাফা বাড়ায় কোম্পানিগুলোকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশাও বাড়ছে। কোম্পানিগুলো মুনাফার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিভিডেন্ড প্রদান করবে এ প্রত্যাশা তাদের।

এ খাতের যে ১২ কোম্পানির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে সে কোম্পানিগুলোর তথ্য তুলে ধরা হলো:

বারাকা পাওয়ার লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই’ ১৬-মার্চ’ ১৭) এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ০.১৩ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৪০ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় করেছিল ২.২৭ টাকা। এদিকে নয় মাসের সর্বশেষ তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ’ ১৭) শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.০৩ টাকা। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে মোট ২০ শতাংশ (১৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক) ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হচ্ছে।

ডোরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড : আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়েছে ১ হাজার ৫২৫ শতাংশেরও বেশি। টাকার অংকে যা ৫.৩৪ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে মোট নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৫.৬৯ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৩৫ টাকা। এদিকে নয় মাসের শেষ তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ২.০৩ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.০৬ টাকা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হচ্ছে। ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরে মোট ৩০ শতাংশ (১০ শতাংশ ক্যাশ ও ২০ শতাংশ স্টক) ডিভিডেন্ড দিয়েছিল এ কোম্পানি।

জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড : জুলাই’ ১৬ থেকে মার্চ’ ১৭ পর্যন্ত মোট নয় মাসে এ কোম্পানি শেয়ারপ্রতি আয় দেখিয়েছে ০.৯১ টাকা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৪১ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১২১.৯৫ শতাংশ বা ০.৫০ টাকা। এদিকে নয় মাসের শেষ তিন মাসে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় কমে দাঁড়িয়েছে ০.৩৪ টাকা। গত এক মাসের মধ্যে এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হচ্ছে। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড : গত অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১১.৪২ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় ৩৬.৮৭ শতাংশ বা ৪.২১ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৬৩ টাকা। এদিকে নয় মাসের শেষ তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.১৭ টাকা। বর্তমানে এ শেয়ারটি লেনদেন হচ্ছে ২০৮ টাকায়। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৬ সালে ১০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে এ কোম্পানি।

এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেড : প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক মিলে মোট নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৫.১১ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩.৬৪ টাকা। সে হিসেবে প্রথম নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৪০.৩৮ শতাংশ বা ১.৪৭ টাকা। এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় ০.৫৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৯৬ টাকা। এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৬ সমাপ্ত অর্থবছরে মোট ৭০ শতাংশ (৬০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক) ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। বর্তমানে এ কোম্পানি লেনদেন হচ্ছে ১২০.৯০ টাকা দরে।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড : গত অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১৩.২৮ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় ৭.৭৬ শতাংশ বা ১.০৩ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৩১ টাকা। বর্তমানে এ শেয়ারটি লেনদেন হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৬ সালে ১০৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে এ কোম্পানি।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড : গত অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১১.৩০ টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় ২৬.৪৬ শতাংশ বা ২.৯৯ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.২৯ টাকা। বর্তমানে এ শেয়ারটি লেনদেন হচ্ছে ২৫৩ টাকা দরে। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৬ সালে ১০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে এ কোম্পানি।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ০.৪৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৪০ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় করেছিল ১.৯৫ টাকা। এদিকে নয় মাসের সর্বশেষ তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.০২ টাকা। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। বর্তমানে ৫৪.২০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে এ কোম্পানির শেয়ার।

শাহাজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ২.০৭ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৫৫ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় করেছিল ৩.৪৮ টাকা। এদিকে নয় মাসের সর্বশেষ তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.৬৬ টাকা। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে মোট ৩৩ শতাংশ (৩০ শতাংশ ক্যাশ ও ৩ শতাংশ স্টক) ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। বর্তমানে ১৪৬.৫০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে এ কোম্পানির শেয়ার।

সামিট পাওয়ার লিমিটেড : চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ০.০৮ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৮৩ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় করেছিল ২.৭৫ টাকা। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে মোট ১৮ শতাংশ (১২ শতাংশ ক্যাশ ও ৬ শতাংশ স্টক) ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার ৪১.৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে।

তিতাশ গ্যাস : চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ০.৫১ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৩৬ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় করেছিল ২.৮৫ টাকা। এদিকে নয় মাসের সর্বশেষ তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.৪৯ টাকা। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৫১.১০ টাকা দরে।

ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিকিউশন : চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ০.৯৪ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৮৫ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় করেছিল ৭.৯১ টাকা। এদিকে নয় মাসের সর্বশেষ তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.৫১ টাকা। সর্বশেষ সমাপ্ত অর্থবছরে ১২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। বর্তমানে এ কোম্পানির শেয়ার গত এক মাসের মধ্যে প্রায় ১৮৫.৭০ টাকা দরে লেনদেন হচ্ছে।