19-12

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ায় যে রাজস্ব ঘাটতির সৃষ্টি হচ্ছে তা পূরণ করা অনেক কঠিন হবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কিভাবে এই ঘাটতি পূরণ হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। তবে আমাদের বিকল্প কিছু বের করতে হবে।

গত ২৮ জুন সংসদে নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত করে পুরনো আইন বহাল রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। এতে করে নতুন বাজেটে বিশাল অঙ্কের ঘাটতির সৃষ্টি হয়।

এছাড়া আবগারি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক কমানোতেও এই খাতেও ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে।

সব মিলে নতুন বাজেটে রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাজেটের আকার পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে বছর শেষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও সংশোধিত বাজেটের আকারে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে; বাড়তে পারে ঋণের পরিমাণ। সে ক্ষেত্রে জিডিপির আকার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয় নতুন অর্থবছর ২০১৭-১৮। ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বিশাল বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। এই ঘাটতি ব্যাংক ঋণ, সঞ্চয়পত্র বিক্রি, নন ব্যাংকিং ঋণ ও বৈদেশিক অনুদান থেকে মেটানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

বাজেটে এনবিআর খাত থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯১ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা, যা মোট রাজস্বের ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ব্যাপক সমালোচনার মুখে নতুন ভ্যাট আইন স্থগিত করা হয়েছে। ফলে ভ্যাট থেকে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। নতুন আইনে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায়ের কথা ছিল। পুরনো আইনে ভ্যাটের হার দেড় থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ।