20160927095044

নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্বাভাবিক হারে দর বাড়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্ত নোটিশ পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫ কোম্পানি। এগুলো হলো- সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড, রহিমা ফুড কর্পোরেশন, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড এবং দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এসব শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চাইলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায় কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের দর বাড়ছে।

সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড : কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে ১৩ জুলাই নোটিশ পাঠায় ডিএসই। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১২ জুলাই থেকে শেয়ারটির দর বেড়েই চলেছে। এ সময়ে শেয়ারটির দর ২০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ ২১টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত হয়। অর্থ্যাৎ এ সময়ে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৮০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর শেয়ারটির এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

রহিমা ফুড কর্পোরেশন : কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে ১৬ জুলাই নোটিশ পাঠায় ডিএসই। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৩ জুলাই থেকে শেয়ারটির দর বেড়েই চলেছে। এ সময়ে শেয়ারটির দর ১৬২ টাকা থেকে বেড়ে সর্বশেষ ১৭২ টাকা ১০ পয়সা পর্যন্ত হয়। অর্থাৎ এ সময়ে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১০ টাকা ১০ বা ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর শেয়ারটির এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি : কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠায় ডিএসই। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১০ জুলাই থেকে শেয়ারটির দর বেড়েই চলেছে। এ সময়ে শেয়ারটির দর ১৮১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ ১৩ জুলাই পর্যন্ত ১৯০ টাকা পর্যন্ত হয়। অর্থ্যাৎ এ সময়ে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৮ টাকা ৭০ বা ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর শেয়ারটির এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড : কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠায় ডিএসই। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১১ জুলাই থেকে শেয়ারটির দর বেড়েই চলেছে। এ সময়ে শেয়ারটির দর ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ ১২ টাকা ১০ পয়সা পর্যন্ত হয়। অর্থ্যাৎ এ সময়ে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৫০ বা ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর শেয়ারটির এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড : কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে নোটিস পাঠায় ডিএসই। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১২ জুলাই থেকে শেয়ারটির দর বেড়েই চলেছে। এ সময়ে শেয়ারটির দর ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ ১১ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত হয়। অর্থ্যাৎ এ সময়ে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৭০ বা ১৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর শেয়ারটির এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।