image-990

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : আগামী ৪ বছরে দেশে ২২টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর মধ্যে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭টি; বেসরকারি অর্থায়নে ৭টি এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ ব্যবস্থাপনায় অপর ৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের মধ্যে এই ২২টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ৩০ শতাংশই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১৬ তে এই লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।

তিনি আরও বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম এবং এর কাঁচামালও বেশ সহজলভ্য। বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে বিশেষ সহায়তা করবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

প্রতিমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০২১ সাল এবং ২০৪১ সালে দেশে মোট বিদ্যুতের চাহিদা হবে যথাক্রমে ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ৬০ হাজার মেগাওয়াট। এই চাহিদার একটি বড় অংশ কয়লা এবং নবায়নযোগ্য উত্স থেকে পূরণ করা হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে চীন এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড (এনার্জি চীন) এবং আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

অন্যদিকে জাইকার অর্থায়নে কক্সবাজারে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিবিএল)।