dse

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের (১৬-২০ জুলাই) লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ৩দিনই পতন হয়েছে সূচকে। বাকী ২দিন বাড়লেও পতনের তুলনায় তা ছিল সমান্য। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহশেষে সব ধরণের মূল্য সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমানও কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ১০.৪০ শতাংশ। আর গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৫ কোটি ৯০ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৭ টাকা।

এদিকে, আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে। তার আগেই ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক কোম্পানিগুলো অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এ সপ্তাহে চলতি বছরের ষাণ্মাষিক মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে। আবার হজ মৌসুমও শুরু হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনা রেখে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অনেকে নতুন বিনিয়োগে ধীরনীতি অবলম্বন করছেন। ফলে সাপ্তাহিক বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তারা আরও বলছেন, দেশের পুঁজিবাজার দীর্ঘ সময় ধরে মন্দার মধ্য দিয়ে পার হয়েছে। বাজার ভালো করার জন্য পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করেছে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার পর একটি ভাল অবস্থায় এসেছে। এর ফলে বাড়ছে বিদেশি বিনিয়োগ। বাজারে নতুন তহবিল আসছে। এ অবস্থা ধরে রেখে বাজারকে সামনে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য দরকার মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিং। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। তাহলেই বড় হবে আমাদের পুঁজিবাজার। এজন্য ডিএসই ও সিএসই-এর শক্তিশালী মার্কেটিং টিম থাকা দরকার।

সাপ্তাহিক ব্যবধানে ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ০.৯০ শতাংশ বা ৫২.৩৯ পয়েন্ট। ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ০.৪৪ শতাংশ বা ৯.৩৭ পয়েন্ট এবং শরীয়াহ সূচক কমেছে ১.০০ বা ১৩.৩০ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৬টি কোম্পানির। দর কমেছে ২০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির এবং লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। এগুলোর ওপর ভর করে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় ৫ হাজার ৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ছিলো ৫ হাজার ৬৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার। সেই হিসেবে গত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৫৮৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা ১০.৪০ শতাংশ।

সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৩.৫৫ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২.৭১ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১.৮৫ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১.৮৯ শতাংশ। আর সপ্তাহশেষে ডিএসইর বাজার মূলধন অবস্থান করছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ১১২ কোটি ৬৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। গত সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৭৯ কোটি ৩৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। সে হিসেবে এ সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ০.৪৫ শতাংশ।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক কমেছে ০.৮৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৯৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। আর সপ্তাহশেষে লেনদেন হয়েছে ৩০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার। যদিও আগের সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।