download

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : বড় ঋণের সংস্কৃতি থেকে ব্যাংকগুলোকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট-২০১৬ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গভর্নর বলেন, ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা আনতে এ খাতের সুশাসন সুনিশ্চিত করতে হবে। বড় ঋণের (৫০০ কোটি টাকার ওপরে) সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে তুলনামূলক ছোট ঋণের দিকে যেতে হবে। কারণ বড় ঋণে খেলাপি ঝুঁকি বাড়ে। ব্যাংকগুলোকে এ ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে আর্থিক খাত তার শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। দেশের প্রকৃত দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি মূদ্রাস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে। আর্থিক খাতের অধিকাংশ সূচকে ইতিবাচক অর্জন পরিলক্ষিত হয়েছে।

গভর্নর বলেন, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে আর্থিক খাতের উন্নয়নের ধারাকে যাতে ব্যাহত না করতে পারে- সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। ঋণ আদায় বৃদ্ধির মাধ্যমে খেলাপি ঋণের হার কমিয়ে আনতে হবে। টেকসই ব্যাংকিং গঠনে সিস্টেমেটিক ঝুঁকির কারণ হতে পারে এমন আগ্রাসী বিনিয়োগ থেকে ব্যাংকগুলোকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এসময় ডেপুটি গভর্নর শিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী বলেন, ২০১৬ সালে ব্যাংকিং খাতে মূলধন পর্যাপ্ততার হার ছিল সন্তোষজনক। এসময়ে সম্পদ ও আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে। আমানত বিমার সক্ষমতা বেড়েছে; যার মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ আমানতকারীর আমানত সুরক্ষা করা সম্ভব।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের উদ্দেশ্যে তিসি বলেন, শুধু সম্পদ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ না করে সম্পদের গুণগত মান বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান ও এসএম মনিরুজ্জামান, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি আনিস এ খান, আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান, চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজার মো. আল্লাহ মালিক কাজেমী, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।