CTG-NEWS-PORT-31.05.2016

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : চট্টগ্রাম ও বেনাপোল বন্দর ২৪ ঘন্টা সচল রাখার সুবিধার্তে ২৪ ঘন্টা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা খোলার রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খুব দ্রুতই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ের অর্থ মন্ত্রণালয়ে চট্টগ্রাম, বেনাপোল বন্দর, কাস্টম হাউজস কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সরকারের এক শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এতে আরও অংশ নেন নৌ ও পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, অর্থ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ব্যাংকিং বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, নৌ সচিব অশোক মাধব রায়, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, এফবিসিসিআই’র প্রথম সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, পরিচালক হাবিব উল্লাহ ডন, রিয়েল এডমিরাল এম. খালেদ ইকবাল, বেনাপোল বন্দর চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কমিশনার, বেনাপোল কাস্টম হাউস কমিশনার প্রমুখ।

বৈঠকে চট্টগ্রাম ও বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি করা, অবকাঠামো সংস্কার, প্রশাসনিক ভবন, বন্দর এলাকায় ব্যাংকের শাখা স্থাপন, যানজট নিরসনে বেনাপোলে বিকল্প সড়ক নির্মাণ, নতুন ইয়ার্ড নির্মাণ, জাহাজের পণ্য দ্রুত খালাস, ২৪ ঘন্টা অপারেশন কার্যক্রম অটোমেশন, ট্রান্সশীপমেন্ট মেড, ভোমরা বন্দরের পরিধি বাড়ানো, ২৪ ঘন্টা ব্যাংকিং সেবা চালু, পণ্য খালাসের দীর্ঘসূত্রিতা কমাতে সব স্টোকহোন্ডারদের এক সঙ্গে করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম, বেনাপোল বন্দর, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পৃথক পৃথক প্রতিবেদন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকের এই বৈঠক খুবই সময়োপযোগী। ২৪ ঘন্টা বন্দর চালু রাখার কথা আমরা অনেক দিন ধরেই ভাবছি। কাকতালীয় ভাবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাটা খুবই কাজে এসেছে।

তিনি বলেন, এটা খুবই লজ্জার বিষয় – চট্টগ্রামে জাহাজগুলোকে অপেক্ষা করতে হয়, এটা ন্যাশনাল লস, খরচও বাড়ে। রপ্তানির জন্য যেসব যানবাহন যায়, সেগুলোও ৩-৪ দিন বসে থাকে, তারা অফ লোড করার জায়গাও পায় না, এটা আরও বর্ধিত হওয়া উচিত। এই জায়গাটায় উন্নয়ন আনা দরকার। এসময় সবাইকে আরও দ্রুত কাজ করার উপর জোর তাগিদ দেন তিনি।

কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কাজে জড়িত আইসিডিগুলোর সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সঠিকভাবে যেসব ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) কাজ করছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওইসব আইসিডির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।