Private-bank

ফয়সাল মেহেদী :  চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ ব্যাংকেরই মুনাফা ও শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়েছে। অর্ধবার্ষিক বা প্রথম ছয় মাসের (জানুয়ারি-জুন’ ১৭) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা ২৯ ব্যাংকের মধ্যে মুনাফা ও শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১৮টির। অন্যদিকে মুনাফা ও শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ১১টি ব্যাংকের। আগের বছরের তুলনায় সিংহভাগ ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তাদের মতে, মুনাফার দিক থেকে অর্ধবার্ষিকে অধিকাংশ ব্যাংক ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। বছরের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশাও পূরণ হবে। তারা আরও বলেন, অনেক সময়ে দেখা যায় ত্রৈমাসিক হিসাবে সাধারণ এবং খেলাপি ঋণের বিপরীতে যথাযত প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয় না। ব্যাংকগুলো প্রভিশন ঘাটতি রাখার ফলে মুনাফা বেড়ে যায়। আর বছরশেষে প্রভিশন রাখতে গিয়ে চ‚ড়ান্ত হিসাবে মুনাফা কমে যায়। তাই বলা যায়, অনিরীক্ষিত হিসাবই চ‚ড়ান্ত নয়।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, বেশির ভাগ ব্যাংকের মুনাফা ছয় মাসের হিসেবে বেড়েছে। ব্যাংকগুলো যদি খেলাপি ও সাধারণ ঋণের বিপরীতে সঠিভাবে প্রভিশন রেখে মুনাফা দেখিয়ে থাকে তাহলে ইতিবাচক। আর ত্রৈমাসিক হিসাবই কিন্তু চ‚ড়ান্ত হিসাব নয়। তবে আশা করা যায়, বছরের শেষ পর্যন্ত মুনাফা বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে এবং ব্যাংকগুলো বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণেও সক্ষম হবে।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ৭.১০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫.৬২ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ১.৪৮ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ৪.১৮ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.৩২ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি ১.৮৬ টাকা আয় বেড়েছে।

পূবালী ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১.২০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৭৮ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.৪২ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৫০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৪৪ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি ০.০৬ টাকা আয় বেড়েছে।

প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১.০৩ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৪০ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.৬৩ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৬০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.২৪ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি ০.৩৬ টাকা আয় বেড়েছে।

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ২.৩১ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.২১ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.১০ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ১.০৪ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.০৪ টাকা। সে হিসেবে এই তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয়ের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১.৪৮ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৪৪ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.০৪ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯২ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৯৩ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.০১ টাকা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ২.০৩ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৩৩ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.৭০ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৭৪ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি ০.২১ টাকা আয় বেড়েছে।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস করেছে ১.২০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.১৪ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.০৬ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৪৯ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.১৭ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি ০.৩২ টাকা আয় বেড়েছে।

উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ২.০৩ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.০৭ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস কমেছে ০.০৪ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ১.৩২ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৩৩ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.০১ টাকা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১.২৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.২৩ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.০২ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ১.১৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৮১ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি ০.৩৪ টাকা আয় বেড়েছে।

সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১.২৯ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৪২ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস কমেছে ০.১৩ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৩৪ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৮৩ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.৪৯ টাকা।

স্টান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৪৬ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৩৮ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.০৮ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.২৬ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.১৭ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি ০.০৯ টাকা আয় বেড়েছে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৮৭ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.০৪ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস কমেছে ০.১৭ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৩৬ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৬৪ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.২৮ টাকা।

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১.০৩ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৮১ টাকা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.২২ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৫২ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৪৩ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি ০.০৯ টাকা আয় বেড়েছে।

ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৮০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৫৫ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.২৫ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৪২ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.২১ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.২১ টাকা।

যমুনা ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১.৩০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.০০ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.৩০ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯১ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৯০ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.০১ টাকা।

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৮২ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.১৫ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.৩৩ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.২৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৭৪ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.৪৯ টাকা।

ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ২.১১ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৯৭ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.১৪ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ১.০৭ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.০৫ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.০২ টাকা।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৯৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৪৪ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.৪৯ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.২৯ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৭১ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.৪২ টাকা।

ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ২.৬৬ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.১০ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.৫৬ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ১.২৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.২৫ টাকা। সে হিসেবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয়ের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৪৪ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৪৬ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস কমেছে ০.০২ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৯৮ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৪০ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.৫৮ টাকা।

রূপালী ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৭৩ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৩৫ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.৩৮ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৩১ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.০৯ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.২২ টাকা।

এবি ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৮৯ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৪৬ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস কমেছে ০.৫৭ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৫৩ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৫১ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.০২ টাকা।

ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৭৭ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.২৮ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.৪৯ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৪২ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.১০ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.৩২ টাকা।

ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১.৯০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৮৫ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ১.০৫ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.৬৭ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.২৯ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ০.৩৮ টাকা।

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৪০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৭৩ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস কমেছে ০.৩৩ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.২৯ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৫৩ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.২৪ টাকা।

প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৮৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৩১ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ০.৫৪ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.০৭ টাকা, এর আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ০.২০ টাকা। সে হিসেবে লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে এ কোম্পানি।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১.৮০ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.১৫ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস কমেছে ০.৩৫ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ১.১৮ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৬৫ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.৪৭ টাকা।

দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ২.১৮ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.৩০ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস কমেছে ০.১২ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ১.৫১ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.৫১ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয়ের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড : জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ০.৫৩ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১.০৫ টাকা। অর্থাৎ চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ইপিএস কমেছে ০.৫২ টাকা। এদিকে অর্ধবার্ষিকের শেষ তিন মাসে ইপিএস হয়েছে ০.২৬ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৮৪ টাকা। সে হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ০.৫৮ টাকা।

উল্লেখ্য, আইসিবি ইসলামীক ব্যাংক লিমিটেড এখন পর্যন্ত তাদের অর্ধবার্ষিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।