Desh-Protikkhon4-1-3

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের রাইট শেয়ার ইস্যু আটকিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আর এই রাইট ইস্যু প্রস্তাব এ মুহূর্ত্বে অনুমোদন না দেয়ার কারণ দেখানো হয়েছে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর জারি করা বিএসইসির নির্দেশনা না মানা।

২০১১ সালের ২২ নভেম্বর জারি করা বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে দুই শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। আর এই নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হলে কোম্পানিটি রাইট শেয়ার বা রিপিট পাবলিক অফারিং (আরপিও) ইস্যু করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, ডিএসইর প্রোফাইলে কোম্পানির স্পন্সর/পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের সংখ্যা দেখানো হচ্ছে ৩৪.৬৩ শতাংশ। এছাড়া লংকাবাংলার অন্যতম পরিচালক মির্জা এজাজ আহমেদ, যিনি কোম্পানিটির এসএসসি হোল্ডিংস লিমিটেডের মনোনীত পরিচালক। তিনি বা তার প্রতিষ্ঠান (এসএসসি হোল্ডিংস) কোম্পানির ১.৭ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন। অর্থাৎ আর কিছু শেয়ার কিনলেই তার দুই শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ হয়ে যাবে।

এদিকে লংকাবাংলার মতো মার্কেট লিড করা প্রতিষ্ঠান এই বিষয়টি অবগত নয় এমনটা ভাবতেও পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটির রাইট ইস্যুর খবরে ঐ সময়ে বিনিয়োগকারীরা হুমড়ি খেয়ে বিনিয়োগ করেছিল। আজ আবার তার বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে রাইট ইস্যুর প্রস্তাব বিবেচনা না হওয়ায়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী পাবলিকের কাছ থেকে কম দরে শেয়ার কেনার জন্য এরকম নাটক তৈরি করেছে। রাইট ইস্যু বাতিলের খবরে কোম্পানির শেয়ার দরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তখন বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ারগুলো কিনে নেবে। আবার পরবর্তীতে লংকাবাংলার পরিচালকদের শেয়ার ধারণের বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আপডেট তথ্য দিয়ে অনুমোদন নিয়ে নেবে। তখন আবার শেয়ার দর বাড়বে। এর মাঝখানে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা বিপুল পরিমাণ মুনাফার স্বাদ নিয়ে পাবলিকদের ক্ষতির মুখে ফেলবে। তাই এ বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রণোদিত কিনা তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিএসইসির প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা।